ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাহিত্যের ফর্ম, ভাববস্তু ও সমালোচনা

সরকার মাসুদ

প্রকাশিত: ২১:৪২, ১৭ নভেম্বর ২০২২

সাহিত্যের ফর্ম, ভাববস্তু ও সমালোচনা

বিশ শতকের প্রভাবশালী সমালোচকদের সিংহভাগই সাহিত্যে বিজ্ঞানমনস্কতার বিষয়

বিশ শতকের প্রভাবশালী সমালোচকদের সিংহভাগই সাহিত্যে বিজ্ঞানমনস্কতার বিষয়টির ওপর খুব জোর না দিলেও সাহিত্যের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তুগত সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন অজস্রবার। মনে হয় এসব বিষয়ে তাদের আগ্রহ এখনো কিছুমাত্র কমেনি। ‘কলাকৌশলের মধ্যেই সাহিত্যের সবখানি মূল্য নিহিত’ এমন মতবাদের প্রাণকেন্দ্রে সাহিত্যের ফর্ম নামক ধারণাটি বিরাজ করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাহিত্যের ইতিহাস হয়ে দাঁড়ায় সাহিত্যের ফর্মের ইতিহাস। কেননা হাজার হাজার লেখকের মাথায় ততোধিক নতুন নতুন থিম রাতারাতি আসে না। খুব ব্যতিক্রমী চিন্তার ও ভাবধারার অল্প কিছু লেখক সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বিষয়বস্তু আনতে পেরেছেন।

কবিতায় যেমন মিরোশ্লাভ হোলুভ বা পাউল সেলান; কথাসাহিত্যে তেমনি বোর্হেস, আলবেয়র কামু বা হোসে সারামার্গোর (তার ইষরহফহবংং উপন্যাসটির কথাবস্তু এখানে স্মর্তব্য) মতো কেউ কেউ ওই ধরনের অমামুলিত্বের ধারক। সুতরাং নতুন ধাঁচের বিষয়বস্তু এবং এ সংক্রান্ত ভাবনা-কল্পনার অপ্রতুলতাই সাহিত্যের ইতিহাস নতুন বিষয় ভাবনারও ইতিহাসÑ এ জাতীয় বিশ^াস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে।
সাহিত্যের ইতিহাসকে শুধু ফর্মের মধ্যে সীমিত রাখলে সাহিত্যকর্মের অন্যান্য দিকগুলোর অবদানকে খাটো করা হয়। এখানে আমি লেখকের জীবনদৃষ্টি, কৌতুকবোধ, সন্ধিৎসা, ভাষাসম্পদ প্রভৃতির দিকে আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছি। সাহিত্যে আঙ্গিক ও শিল্প কৌশলের গুরুত্বকে অস্বীকার করবেন না কোনো প্রকৃত লেখকই। এই বিষয়টি কতখানি গুরুত্ব পাওয়া উচিত এবং বিষয়বস্তু ভেদে তার পরিমাণই বা কী হবেÑ তিনি বড় জোর এ নিয়ে তর্কে লিপ্ত হতে পারেন।
এফআর লিভিস, হার্বাট রিড, ডেভিড ডেইচেস জন ক্রো র‌্যানসন, বুদ্ধদেব বসু, শিবনারায়ণ রায়, শঙ্খ ঘোষ, অশ্রু কুমার সিকদার... এরা সকলেই যত না বলবার বিষয় তার চেয়ে কথাটি কী ভঙ্গিতে বলা হলো তার ওপরেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ক্রিস্টোফার কডওয়েল বা বিষ্ণুদে’র মতো কেউ কেউ অবশ্য ভিন্ন পথের যাত্রী। কিন্তু তাদের সংখ্যা এত কম! যে প্রবন্ধকার-সমালোচকদের কথা এইমাত্র বললাম তারা সকলেই চমৎকার লেখক। তাদের চিন্তা সূক্ষ্মতাদীপ্ত ও উন্নত; রচনাভঙ্গি নজর কাড়ার মতো বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। কিন্তু, আমি লক্ষ্য করেছি, তাদের প্রায় সবারই দৃষ্টিতে সাহিত্যকর্মের গঠনগত ত্রুটি খুব বড় ধরনের সমস্যা। এদের সমালোচনা পড়ে মনে হয়, গঠনভঙ্গি ও বাকরীতির বাইরে বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়ার মতো তেমন কিছু নেই সাহিত্যে।
যখন থেকে সাহিত্য গণ্য হয়েছে সচেতন মনের সৃষ্টি হিসেবে, বলা চলে তখন থেকেই সমালোচকরা প্রধানত তার লিখন সুষমার গুণকীর্তন করে আসছেন। সমালোচনার এই ধারাটি শিল্পের আঙ্গিক ও গঠনগত সমস্যার প্রতি লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তীব্রভাবে। আধুনিককালে আমরা কবিতা ও কথাসাহিত্যে নৈপুণ্যের বিচিত্র ধরন ও চমকদীপ্তি লক্ষ্য করি। এটা ওই চেতন সাহিত্যিক মনেরই বহির্প্রকাশ। এখন কথা হচ্ছে, যদি আকৃতি, গঠনবৈশিষ্ট্য, নিরীক্ষা সৌন্দর্য... কেবল এগুলোই একটা সাহিত্যকর্ম বিচারের মাপকাঠি হয় তাহলে তো ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’ ‘মবি ডিক’ বা ‘ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী’ কে সাধারণ মানের উপন্যাস বলতে হবে।

তাছাড়া ‘দ্য ম্যাজিক মাউন্টেইন’ ‘দ্য আউটসাইডার’ ‘দ্য টিনড্রাম’ বা ‘আট বছর আগের একদিন’ প্রভৃতি রচনার অভাবনীয় ভাষারীতি ও সংশ্লিষ্ট কলাকৌশল কিভাবে তাদের অনন্য বিষয়বস্তুর মহত্ত্বকে আড়াল করে রাখে তা আমরা ভাবি না। খাবারের চেয়ে তার পাত্র যদি বেশি ঝলমলে হয় তাহলে পাত্রটিই আমাদের চোখে পড়ে বার বার। খাবারের খাদ্যগুণ অবহেলিত হয়। শতাধিক কাল ধরে শুধু ফর্ম, আঙ্গিক, উপস্থাপন কৌশলের ওপর এতটাই জোরারোপ করা হয়েছে যে, কবিরা, গদ্যশিল্পীরা নতুন বিষয়বস্তুর সন্ধানের কাজে খুব বেশি লিপ্ত হতে পারেননি। এমন নিস্পৃহতার একটি প্রধান কারণ এরকম মতবাদ- পুরনো জিনিসকে নতুন ভঙ্গিতে নতুন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির ভেতর দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব হলেই তা উৎকৃষ্ট সাহিত্যকর্মের মর্যাদা পেতে পারে।
সমালোচনার কাজ সাহিত্যের নিয়ম-শৃঙ্খলার দিকে লেখককে কিছুটা মনোযোগী করে তোলা। কিন্তু প্রধানতম কাজ হচ্ছে অর্ধমৃতকে জাগিয়ে তোলা। আধুনিক সমালোচকগণ অসহজতা ও জটিলতায় এতটাই অভ্যস্ত যে, যা সহজে অনুমেয়, যা সাবলীল সৌন্দর্যের ধারক তাকে তারা অনেক সময়ই অবজ্ঞা করেন। যেন যে সকল রচনা অস্পষ্টতা ও দুর্বোধ্যতাকে বর্জন করে, যে সাহিত্য কর্মগুলো স্নিগ্ধ সারল্যে উজ্জ্বল সেগুলো অগভীর। তাই আমরা দেখি টলস্টয়ের সহজ গভীর সারল্যের চেয়ে উত্তরকালের হেনরি জেমসের বাঁকা পথ একালের ক্রিটিকদের বেশি প্রিয়।

এই যে সহজাত ভাবসারল্য ও স্বতঃস্ফূর্ত লিখনরীতিকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ার প্রবণতা তার পেছনে সাহিত্যিক সিন্ডিকেট সক্রিয়। মার্কিন কথাশিল্পী কবি প্রাবন্ধিক জনক্রো র‌্যানসন যখন ‘সমালোচনা লিমিটেড’ জাতীয় শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন তখন এর দ্বারা বোঝা যায় সমালোচনা সাহিত্যভুবনে একটি পরিকল্পিত শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
অনেক সাহিত্যিক মতামত বিভ্রান্তিপূর্ণও বটে। তাই প্রতিষ্ঠার এক/দেড় শতক বছর পরেও চার্লস ডিফেন্সের মতো লেখককে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ বা এমারসনকে ‘প্রবন্ধক’ আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

ম্যাথু আর্নল্ডের কবিতা সম্বন্ধে ‘স্বল্পবুদ্ধি’ ‘অস্ফুটগুঞ্জন’ প্রভৃতি কথা বলা হয়েছে। উৎপল কুমার বসুর মতো স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত ও গুরুত্ববহ কবিকেও এমন অপবাদ দেওয়া হয়েছে যে, একান্ত ব্যক্তিভাবের ওপর লিপিচাতুর্যের বর্ণাঢ্য চমকই তার কবিতার মুখ্য আকর্ষণ। কবিতার নিজস্ব সৌন্দর্যকে স্বীকার করেও তার লেখকের সমাজ সংলগ্নতাকে যদি এড়িয়ে যাওয়া হয় তাহলে একজন মুস্তফা আনোয়ার বা একজন মলয় রায় চৌধুরীর কার্য মূল্যায়ন ভ্রান্ত হতে বাধ্য।
আমার মনে হয়, এই একুশ শতকে পদ্ধতি সচেতনতা এমন একটা পর্যায়ে এসে ঠেকেছে যে তার ফলে যে-অবচেতন থেকে শিল্পকলা উৎসারিত হয় তার সহজ সাবলীল প্রবাহ এখন রীতিমতো ‘দ্বিধাগ্রস্ত’। তাই স্বাভাবিক অনুভূতির ওপর নির্ভর না করে লেখকদের একটা বড় অংশ আজ বুদ্ধিবৃত্তির চরম উৎকর্ষ বিধানে নিয়োজিত। এভাবে তারা নিজেদের বিকাশকে নিজেদের অজান্তেই ব্যাহত করেন। তার ওপর আছে নতুন সমালোচক গোষ্ঠীর প্রভাব।

সম্প্রতি পোস্ট মর্ডান বা পোস্ট কলোনিয়াল সাহিত্য নিয়ে যে সব কথাবার্তা আমরা শুনেছি তার অনেক কিছুই ভালো করে, না বুঝে কেবল তত্ত্বের চমকে আকৃষ্ট হয়ে অস্পষ্ট, কুহকী পথে অগ্রসর হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী লেখকরা লেখার ভাববস্তুটি মনে পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ার আগেই তার ফর্মের কথা চিন্তা করেন। যেন সেই থিমটাকে কোনোভাবে ওই ফর্মের ভেতর গুঁজে দিতে পারাই সার্থকতা!
ত্রিশের-চল্লিশের দশকে ‘কাব্যের মুক্তি’ ‘কবিতার স্বাধীনতা’ এরকম শিরোনামে প্রবন্ধ লেখা হতো। ষাটের দশক ও তার পরেও ‘বিশুদ্ধ কবিতা’র ধারণায় বিশ^াসী ছিলেন সিকদার আমিনুল হক, আবদুল মান্নান সৈয়দরা। কিন্তু কবিতার ভাষা, বাক প্রতিমাজনিত সৌন্দর্য ছাড়াও দৃষ্টিভঙ্গির বা জীবনবোধের গভীর তাৎপর্যে একটি টেক্সট উন্নত কাব্য হয়ে উঠতে পারে। তারাপদ রায়ের মতো দু’একজন তা করে দেখিয়েছেন।
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পাঠ করলে ধরা পড়ে, এফআর লিভিসের মতো গদ্য শিল্পীও অনেক ক্ষেত্রেই একদেশদর্শী। তার লেখা প্রমাণ দেয় তিনি কাব্যের কোনো কিছু বলতে চাওয়ার পক্ষে নন বরং কবিতার ‘হয়ে ওঠা’র দিকেই তার পাল্লা ভারি। জিরার্ড মেনলে হপকিনস সম্বন্ধে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন তা বিচার করে দেখা যাক। লিভিস বলেছিলেন, ‘তিনি (হপকিনস) সম্ভবত আমাদের এবং ভাবীকালের জন্য ভিক্টোরিয়া যুগের একমাত্র প্রভাবশালী কবি বলে প্রমাণিত হবেন। আমার মতে তিনি সে যুগের শ্রেষ্ঠতম কবি।’ এই মূল্যায়ন পুরোপুরিভাবে হপকিন্সের চিত্রকল্পের শক্তি ও সূক্ষ্মলিপি দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। কবি কী বলেছেন বা বলতে চেয়েছেন তা এখানে বিবেচ্য নয়।
আঙ্গিকের বিশিষ্টতা নিয়ে গরিমা প্রকাশের চেয়ে জীবনের বিচিত্র অর্থ এবং দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার কাজটি অনেক বেশি মূল্যবান বলে মনে হয়। একজন হোমার একজন টলস্টয় বা একজন রবীন্দ্রনাথের সগৌরবে টিকে আছেন; তার অন্যতম কারণ তাদের লেখায় জীবনের অর্থ অনুসন্ধানের চেষ্টা প্রভূতভাবে সার্থক।
প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ডক্টর জনসন বলেছিলেন সাধারণ পাঠকের সঙ্গে যদি কিছু সংযোগ না থাকে তাহলে সেই লেখকের টিকে থাকা অসম্ভব। নতুন যুগের সমালোচকরা এই ‘সংযোগ’ বা সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেছেন। তারা সংখ্যালঘু দীক্ষিত পাঠকদের রুচির ওপর আস্থাশীল। সংযোগের বিষয়টি কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্যের বিষয়বস্তু যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয় এটা তার সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিষয়বস্তুর মাধ্যমেই লেখকের আবেগ-অনুভূতি কেন্দ্রবিন্দু খুঁজে পায়। সেই সঙ্গে তা লেখককে প্রণোদিত করে নান্দনিক সুষমার পথ অন্বেষণ করতে।

পাউন্ডের সর্বাধিক স্মরণীয় কবিতা ঐঁময ঝবষুিহ গধঁনবৎষবু, গাট্রুড স্টেইনের গদ্যগ্রন্থ ঞযৎবব খরাবং, চেখভের ঈযবৎৎু ঙৎপযধৎফ প্রভৃতি রচনা গুরুত্বপূর্ণ হতে পেরেছে মুখ্যত তাদের বিষয়বস্তুর ওজনের জন্যই। সমধর্মী কথা কি আমরা ‘সোনার তরী’ ‘আনা কারেনিনা’ বা ‘মাদাম বোভারি’ সম্বন্ধেও বলতে পারি না?
লেখার স্বতঃস্ফূত কায়দা পাঠককে টানে। আবার সেই কৌশল যদি পরিকল্পিত আরোপিত হয় তা থেকে ভালো কিছু ফলে না। গত একশত বছরে আমরা দেখেছি, শত শত কাব্য, ছোট গল্প, উপন্যাস অভিনবত্ব ও চমক সত্ত্বেও শূন্যগর্ভতার উদাহরণ হয়ে আছে। কেন এগুলো ফাঁপা সাহিত্য? কারণ এসবের মধ্যে ‘মাল’ নেই। কেন আমরা ভুলে যাই যে, পাঠক লিখনরীতির অতিরিক্ত কিছু একটা চায় যা তাকে উদ্দীপ্ত, আশাহত বা বিপদগ্রস্ত করে তুলতে পারে।
বিশ^জুড়ে আজ অজস্র লেখক পাল্লা দিয়ে অদৃষ্টপূর্ব আঙ্গিকের রূপ-কৌশল এবং ফর্মসংক্রান্ত ভাবনায় মেতে উঠেছেন। উভয়ই ক্লান্তিকর বিষয়। তুচ্ছ ও অর্থহীন থিম ঘিরে তাদের শিল্পিতা অর্জনের অনন্ত প্রয়াস প-শ্রমের উদাহরণ ছাড়া আর কিছু নয়। তাছাড়া শব্দ ও কায়দা কৌশলের ভারে শ^াসরুদ্ধ হয়ে মারা পড়েছে কত-না সম্ভাবনাময় কবিতা, তা কি আমরা দেখিনি? কাজেই ‘রূপরীতি ও ফর্ম ছাড়া অন্য কিছুরই গুরুত্ব নেই’ ভালেরির এই মতো ত্রুটিপূর্ণ।

রিচার্ডসন থেকে মার্কেজ এরা কেউই কিন্তু কথাসাহিত্যের বস্তুটিকে অগ্রাহ্য করেননি, বরং থিমকে ঔজ্জ্বল্য দেওয়ার জন্যই নানা কায়দা ও ভঙ্গির আশ্রয় নিয়েছেন। পরন্তু গল্পটাও এদের লেখায় ওজনবহ। আঙ্গিকের তাৎপর্যকে হেয় না করেও আমরা বলতে পারি, সাহিত্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয় তার বিষয়বস্তুর উৎকর্ষ, তার জীবন ভাবনার বিশিষ্ট ধরন, তার অন্তর্নিহিত স্থায়ী মূল্য।

×