
.
তনুশ্রীর বেলায় সবসময়ই এমন হয়। কোন কাজ অসম্পূর্ণ থাকলে তার স্বস্তি থাকে না। করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু টেস্ট রিপোর্ট পাননি।
নারী হাসপাতালে ছুটে যান। নিরাপত্তা কর্মী তখন ঘুমুচ্ছে। পালা কর্মকর্তার রুমে যেতে তাই আর কষ্ট হলো না। কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হন্তদন্ত নারীকে দেখে গা কেঁপে ওঠে। আরে! এক নিঃশ্বাসে অনেক প্রশ্ন। আপনি কে? কী চান? এতো রাতে কোথা থেকে এলেন?
ধীর অথচ আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠ নারীর। ‘আমার টেস্ট রিপোর্ট!’ তমালিকা তনুশ্রী। পেশা অধ্যাপনা। স্বামী আর কন্যা নিয়ে সংসার। শ্রেণীকক্ষ তার কাছে পবিত্র স্থান। প্রিয় জায়গাতো বটেই। পড়ানোর সময় নারী অন্য এক জগতে ঢুকে যান। বই পড়া তার পছন্দ। তাইতো শুধু এ জন্যেই কিছুদিন ছুটি নিয়েছিলেন। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেল করোনার বিস্তার। ছন্দের পরিবর্তন এলো নারীর জীবনে। এদিক ওদিক ঘুরেছেন তনুশ্রী।
আপনি কি করোনা আক্রান্ত?
না ...মানে, ...। আমতা আমতা করেন নারী।
এমন রোগীর স্থান এখানে নেই, এ কথা ওরা পরিষ্কার করেই বলে দেন। করোনায় আক্রান্ত কিংবা আক্রান্ত না এদেরই কেবল একটু হিল্লে হচ্ছে। মধ্যবর্তী রোগীরা হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন কেবল। এই নারীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এক পর্যায়ে আশ্রয় হয় ‘জীবন রেখা’ হাসপাতালে।
তারপর আরেক দফা যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয় নারীর কাঁধে। কেবিন খালি ছিল না, অগত্যা জায়গা হয় ওয়ার্ডে। একেবারে একাদশ ঘণ্টায় উঠতে হয় আইসিইউতে।
মেয়ে, মেয়ের ফোন! নারীর কান ঐদিকে। মনোযোগ দিয়ে শুনতে ইচ্ছে করে। চোখ বুজে ওপারের কথা শুনছিলেন। মেয়ের, প্রাণের কন্যার কণ্ঠ। আহা কী শান্তি!
কয়েক দিন হলো স্নেহার সঙ্গে তার দেখা নেই। একমাত্র মেয়ে সে। পেশায় চিকিৎসক। হাসপাতালের সঙ্গেই বরাদ্দ করা এ্যাপার্টমেন্টে ওর বাস। রাতের খাবার খেতে খেতেই জানাল, সে গাইনোকোলোজি থেকে মেডিসিনে যাওয়ার অপশন দিয়েছে। হাসপাতালে দলে দলে রোগী আসছে। চিকিৎসকেরা হিমশিম খাচ্ছেন। স্নেহা বলল, ‘এ অবস্থায় কি আমি আলাদা থাকতে পারি?’
চিত্রটি চোখের সামনে।
বাড়িতে না ফিরে একটানা চিকিৎসা দিয়ে চলা ডাক্তারদের ধৈর্যের বাঁধ বুঝি ভাঙতে চলেছে। ওই হাসপাতালেরই কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ আবুল হোসেন যেমন বলছেন, ‘করোনা মহামারীর এই যুদ্ধের দিনগুলোয় আমাদের বীর বলা বন্ধ করুন। ধন্যবাদ শব্দটি এড়িয়ে চলুন। হাসপাতালের বাইরে প্রশংসা সংবলিত প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থানও বন্ধ করুন। আমরা কিন্তু ওই মানুষগুলোই, যাদের সারা বছর আক্রমণাত্মক সুরে কথা বলেন আপনারা। দ্রুত রোগী না দেখার সব দোষ যেন আমাদের।‘ আত্মজা তার সেই সময় পার করছে। ভয় আর সুখ, দুই অনুভূতিই কাজ করে তনুশ্রীর।
যাওয়ার আগে স্নেহা বললো, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমি কিন্তু বাসায় আসবো না। তোমাদেরতো ঝুঁকির মধ্যে রাখতে পারি না!’
হ্যাঁ মামনি, আমার কাজ চলছে। তুমি ভালো থেকো। হাসপাতাল এখন ভীষণ ব্যস্ত। স্নেহা পাশের বিল্ডিংয়েই দায়িত্বরত।
বাসায় থাকতে প্রতিদিনই কাজে যাওয়ার আগে মাকে জানায়, চিকিৎসকেরা কিভাবে রোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন! নিঃশ্বাস নেওয়ারও সময় নেই। হৃৎপিন্ডে ইলেকট্রিক শক দিয়ে তাকে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। আরেক চিকিৎসক তখন চেঁচিয়ে বলছেন, ভেন্টিলেটর চাই।
মরণাপন্ন কোনো মানুষকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে স্নেহা। নার্সদের অবস্থা তথৈবচ। প্রতিদিন শিফট শুরুর আগে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের নার্সরা একে অন্যের হাত জড়িয়ে ধরে প্রার্থনা করে, শপথ করে, বেঁচে থেকো, বাঁচিয়ে রেখো! তাদের এমন প্রার্থনায় এই মরা সময়েও গোলাপ ফোটে।
সেই স্নেহা এখন খোঁজ নিচ্ছে মায়ের। এইতো আমার হীরের টুকরো মেয়ে। জননী অসীম ভাল লাগায় সিক্ত হন।
তনুশ্রী এখন বিচ্ছিন্ন এক মানবী।
একটা দ্বীপে বহু বছর ধরে একা থাকেন এক খ্যাপাটে বৃদ্ধ। মাঝেমধ্যে মূল ভূখ-ে বেড়াতে আসেন। দ্রুতই ফিরে যান তাঁর মোহ জাগানিয়া একাকিত্বে। একি নিঝুম দ্বীপ? নারী নিজেকে দেখেন বৃহত্তর সেই উদ্যানে। শীতকালে অসংখ্য পরিযায়ী জলচর আর পানিকাটা পাখি বেড়াতে আসে। সেখানে আছে প্রচুর চিত্রা হরিণ। মানুষের সঙ্গ বৃদ্ধার ভাল লাগে না একেবারেই। তাই প্রকৃতির মধ্যে, আরেকটা প্রকৃতি হয়ে মিশে থাকেন। কথা বলেন গাছপালা, পাখি আর হরিণের সঙ্গে। সভ্যতা, ঐশ্বর্য আর মানুষই যে সবকিছু নয়, বৃদ্ধ সেই কথা দূর থেকে মনে করিয়ে দিতে চান।
নারী বুঝি ওই খ্যাপাটে মানুষটির দলে! নাকি আই সি ইউতে পড়ে থাকা এই হাসপাতালটিতে!
কন্যার ফোন।
তনুশ্রী বলেন, হ্যাঁ মামনি, আমি ...
কথার ধারাবাহিকতা রাখা সম্ভব হয় না।
করোনা টেস্ট এখন ও...
নার্স ফোনটা হাতে নিয়ে মেয়েকে আশ্বস্ত করেন, তার মায়ের কোন কষ্ট হচ্ছে না।
তিনি খুব প্রশান্তির মধ্যে আছেন।
স্নেহারও সময় নেই।
তনুশ্রী সেদিন ঘরে। টেলিফোনে স্নেহা বলল, ‘এত মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু কারও জন্য থমকে দাঁড়িয়ে একটু দুঃখও করতে পারছি না। একজনের কাজ শেষ করে ছুটে যেতে হচ্ছে আরেকজনের কাছে। ভীষণ মানসিক চাপ। একসঙ্গে এত মৃত্যু কেউ এর আগে দেখেনি। সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হচ্ছে, মৃত্যুর সময় চিকিৎসক ছাড়া পাশে কোনও প্রিয়জন না থাকা।’
আমরা ভাগ্যবান, তনুশ্রীর অনুভূতিতে আনন্দের প্রস্রবণ।
অন্যদিকে নজর যাবে কেন? নারী টিভির খবরে একটি দৃশ্য দেখেছিলেন। করোনায় আক্রান্ত মাকে দেখতে মেয়ে হাসপাতালে এসেছে। কিন্তু দেখছে দূর থেকে। তাও কতদিন পর! মা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মেয়েও। যেন অদৃশ্য এক আলিঙ্গন।
সেই জায়গায় স্নেহা মায়ের খবর নিচ্ছে ঘণ্টায় ঘণ্টায়।
মা, তোমাকে আমি হাওয়া বদলের জন্য নিয়ে যাব।
ঐযে বলেছিলাম, তোমাকে নিয়ে আকাশে উড়তে পারি।... ... সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর ওপারে ঘুরতে পারি।
দূরে বহু দূরে দাঁড়িয়ে আছে রুবি প্রিন্সেস নামের প্রমোদতরি। বুঝি, নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ছেড়ে যায়। তনুশ্রীর ভ্রমণের ইচ্ছে ছিল। স্নেহাই ইচ্ছেটি উস্কে দিয়েছিল। এর আগেই মেঘের মধ্য দিয়ে ছুটছিলেন তনুশ্রী। কিন্তু কী কারণে যেন তরীতে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে প্রমোদতরিটি কিন্তু ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে সরাসরি সিডনিতে ফিরে আসে।
ভালই হলো। না গিয়েই মনের শান্তি! তনুশ্রী জটলা দেখেন সামনে। নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ার শহরে তখন করোনাভাইসের বিপর্যয় শুরু। আবার জাহাজের মধ্যেও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। তাই ওখান থেকেই ফিরে আসে জাহাজ। অভিযোগ ওঠে, সেই তথ্য গোপন করে রুবি প্রিন্সেস। আর বিনা পরীক্ষায় সিডনিতে নামিয়ে দেয় যাত্রীদের। তনুশ্রীর ষোলো আনা মনোযোগ রুবির দিকে।
অনেক টানাপোড়েনের পর রুবি প্রিন্সেস ছেড়ে গেছে দেশটির জলসীমা। এত কথা, এত বিক্ষোভ! তারপরও অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার সময় কিন্তু মন ওদের খারাপ হয়েছে ঠিকই। এই করোনার দিনে জাহাজে থেকে যাওয়া মানুষের জন্য হৃদয় কেঁদে ওঠে। প্রমোদতরিটি উল্টো ঘুরে রওনা দিতেই রিনঝিনি করে ওঠে তাদের মন। তনুশ্রীকেও স্পর্শ করে জাহাজের পেছনে লেখা ‘ধন্যবাদ’ কথাটি।
তনুশ্রী ফোনের কথা ভুলে যান, মেয়ে তার মায়ের কোলে আসন গেড়ে বসে। আহা স্বর্গের সুখ!
এবার নার্স তনুশ্রীকে জিজ্ঞেস করল,
তার কোন শেষ ইচ্ছা আছে কি না। ধর্মীয়ভাবে কিছু চান কি না।
আইসিইউতে বিছানাগুলো পাশাপাশি। নারী অন্যান্য রোগীর দিকে তাকান। দেখেন, সব রোগীই গুরুতর অসুস্থ। তারা সবাই অচেতন।
এমন সময় বাইরের একটি ফোন। নার্স রোগীর মেয়েকে তার মায়ের অবস্থা জানাল।
এরপর তনুশ্রীর কানের কাছে ফোন ধরলো। ওপারে মেয়ে স্নেহা, আত্মজা তার।
এই সময় একটা নির্দেশ আসে। ডাক্তার নার্সকে বললেন, করোনা আক্রান্ত এই রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে। নারী বুঝে ফেললেন সর্বশেষ বার্তা।
দেশ-বিদেশে মৃত্যুর মিছিল। ভাবনার জগৎ জুড়ে করোনা আর করোনা। আই সি ইউর নীরবতা তাকে স্বস্তি দেয় না। কেমন কানাঘুষা শুনতে পান।
মেয়ের ফোন। মা মা, ভিডি ও কলের জন্য চেষ্টা করছি। ত্বরিত বলে যায় স্নেহা। কিন্তু আইসিইউর ভেতরে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি নেই যে! ... আচ্ছা ঠিক আছে। আমরা কথা চালিয়ে যেতে পারি। মেয়েটি তখন মায়ের কানে আবেগের কথাগুলো বলে।
ফোনের ওপাশ থেকে বুকভাঙা কান্নার আওয়াজ আসে। কেঁদে কেঁদে মেয়েটি প্রার্থনা করে। মহান স্রষ্টার বাণী মায়ের কানে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে।
সিস্টার, কম্পিউটার থেকে একটা মিউজিক দাও না! ... নার্স তার অনুরোধ রাখে। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে তখন আবহসঙ্গীতের মতো হালকা শব্দে একটা গান বাজে। মেয়েটি মায়ের প্রিয় এই গানটিই বাজানোর অনুরোধ করে!
এরই মধ্যে নার্সটি ভেন্টিলেটরের সুইচটা বন্ধ করে দিল।
সে রোগীর পাশে বসে, তার হাত ধরে। তনুশ্রীর শ্বাস টানতে কষ্ট হচ্ছিল। হঠাৎ করে একটা শব্দ। ভেন্টিলেটর যন্ত্র বন্ধ করে দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কা-টা ঘটল।
স্নেহার মুখটি ভেসে ওঠে। নার্স ফোনটা নিয়ে নেয়।
ঘরটায় আলো থাকার পরও যেন ভুতুড়ে হয়ে গেল। আইসিইউ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হলো।
মনিটরে দেখা গেল, আলো ফ্লাশ করছে। তারপর এর পর্দায় হৃৎস্পন্দন থেমে যাবার যান্ত্রিক সঙ্কেত দেখা যাচ্ছে।
বিশাল ঘরটি ছোট হয়ে যায়। তনুশ্রী দেখেন, তার চারপাশ পর্দা দিয়ে ঘেরা। এরই মধ্যে সবরকম সতর্ক সঙ্কেত বন্ধ করে দেয়া হয়। নার্সরা কথা বলা থেকে বিরত থাকে। রোগীর সম্মান এবং তাকে স্বস্তি দেওয়াটাই তখন তাদের অগ্রাধিকার।
তনুশ্রীকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার জন্য নলের মাধ্যমে যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল সেসব নল খুলে দিলো নার্স।
এদিকে রোগীর মেয়ে জানে না আইসিইউতে এতটাই অন্ধকার নেমে এসেছে। গভীর নিস্তব্ধতা। তনুশ্রী হারিয়ে যাচ্ছেন। সাগরের তলদেশে আরও আরও গভীরে চলে যাচ্ছেন নারী। একটা একটানা ঝিঁ ঝিঁ শব্দ শোনা যাচ্ছে। দূর থেকে কন্যা মায়ের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছিল। সুরে বাজছিল পুত পবিত্রতার গান।
‘তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে॥
তব পুণ্য কিরণ দিয়ে যাক্ মোর মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
আবার কলেজ, আবার ক্লাস।
তনুশ্রীর ছুটি শেষ হয়ে আসে। দিনে কত মারা যায়, কোথায় কী হচ্ছেÑ এ সবই যেন, না চাইলেও অদ্ভুতভাবে জেঁকে বসে মাথায়। ভেবেছিলেন ছুটি শেষে শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাবেন। হ্যাঁ, যাবই তো! প্রিয় শিক্ষার্থীও সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হবে।... একশো ভাগ সত্য। সাহিত্য নিয়ে আলাপ হবে। ... না হওয়ার কোন কারণ নেই।... নারী এগোতে থাকেন।
সামনে কলেজ। প্রবেশ পথে এ্যালার্ম বেজে ওঠে। কাচের ঘর থেকে কেউ একজন হাত বাড়িয়ে দেয়। টেস্ট রিপোর্ট চাই! স্বাস্থ্য ও নৃতত্ব বিভাগ।... ঠিকই আছে। ও তাইতো... রিপোর্টটা আনা হয়নি।
নার্স তার সহকর্মীর সাহায্য নিয়ে নারীর সারা শরীর ধুইয়ে দিলো। সাদা কাপড়ে মুড়ে তার দেহ ব্যাগে ঢোকাল। আর ব্যাগ বন্ধ করার আগে তনুশ্রীর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিল।
তনুশ্রী কর্তব্যরত ডাক্তারের সামনে দাঁড়িয়ে।
কী টেস্ট? এতোক্ষণেও পরিষ্কার হয়নি ডাক্তারের কাছে। নাকি প্রশ্ন করে পরিস্থিতি উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা!
‘আমার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা আনা হয়েছে। ‘নারী তার চাওয়াতে অটল।
কর্তব্যরত চিকিৎসক এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেলে বাঁচেন। ভেতরের টানাপোড়েন কমে না।
প্রবল অসহিষ্ণুতা তার। তার স্বরে এক বস্তা রাগ ছুড়ে দেন। আরে, আপনি করোনার ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? আপনার তো বাসায় থাকা উচিত।