ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যেকারণে ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকে

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ২৬ অক্টোবর ২০২২

যেকারণে ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকে

কেউ কেউ ভাবেন এই ফলগুলো বোধহয় বিদেশ থেকে আমদানি করা

অনেকে সময়েই বাজার থেকে ফল কিনতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ফলের গায়ে লাগানো রয়েছে ছোট্ট একটি স্টিকার। অনেকেই ভেবে নেন, ফলের গায়ে লাগানো এই স্টিকারগুলো বোধহয় গুণমানের পরিচায়ক। এমনকি, কেউ কেউ ভাবেন এই ফলগুলো বোধহয় বিদেশ থেকে আমদানি করা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ বা ‘এফএসএসএআই’ বলছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের গুণমান, দাম ও কী ধরনের প্রক্রিয়ায় ফলটি উৎপাদিত হয়েছে তা বুঝতে। কিন্তু ভারতে আদৌ এমন কোনো নিয়ম নেই। বরং এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের খুঁত ঢাকা দিতে কিংবা ফলগুলি অন্য ফলের তুলনায় ভালো- এমন প্রমাণ করতে। অনেক সময় এই ধরনের স্টিকার দেখিয়ে বেশি দামও চাওয়া হয় গ্রাহকদের কাছে।

শুধু ভারত নয়, স্টিকারের মাধ্যমে ভোক্তাকে বিভ্রান্ত করার বিষয়টি অন্য অনেক দেশেও হতে পারে। সুতরাং ফলের গায়ে স্টিকার দেখেই সেই ফল ভাল বলে ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

তাছাড়া, ব্যবহৃত স্টিকারগুলো যে আঠা দিয়ে ফলের গায়ে লাগানো থাকে, তার উপরেও বিশেষ নজরদারি নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই এ ধরনের আঠায় ব্যবহৃত রাসায়নিক উল্টো ফল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

পৃথিবীর সব দেশের ক্ষেত্রে স্টিকার মানেই অর্থহীন কিছু নয়। খাদ্যের গুণমান নির্ণায়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘আইএফপিএস’ বলছে, স্টিকারে যদি চার সংখ্যার কোনো কোড থাকে, তাহলে এর অর্থ- ফলটি উৎপাদনে সাধারণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। কোডটি পাঁচ সংখ্যার হলে এবং কোডের প্রথম সংখ্যাটি আট হলে তার অর্থ- ফলটি ‘জেনেটিকালি মডিফায়েড’ বা জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ফলানো। আর পাঁচ সংখ্যার কোডটি যদি নয় দিয়ে শুরু হয় তবে তার অর্থ- সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে ফলানো হয়েছে ফলটি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

এমএইচ

×