
ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবেটিস এখন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এক মহামারির রূপ নিচ্ছে। তবে জীবনধারায় কিছু সহজ পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর অন্যতম উপায় হলো খাবারের তালিকায় কিছু উপকারী দেশি উপাদান যুক্ত করা। চলুন জেনে নিই এমন ছয়টি দেশি খাবারের নাম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
১. করলা (তিত করলা)
করলা প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ‘চারানটিন’ উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। রোজ সকালে করলার রস খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।
২. মেথি (ফেনুগ্রিক)
মেথি বীজে ফাইবার এবং গ্যালাক্টোমানান নামক উপাদান থাকে, যা শর্করার শোষণ ধীর করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। রাতে এক চামচ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়া উপকারী।
৩. আমলা (ঢেঁড়শ)
আমলায় উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন নিঃসরণে সহায়তা করে। আমলার রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৪. ঢেঁড়শ
ঢেঁড়শে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে গ্লুকোজ শোষণ হ্রাস করে এবং হজম প্রক্রিয়া ধীরে করে। ঢেঁড়শ সেদ্ধ বা তরকারি হিসেবে নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।
৫. তুলসী পাতা
তুলসী পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক তেল রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে। খালি পেটে ২-৩টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া ভালো ফল দিতে পারে।
৬. কালোজিরা
কালোজিরায় থাকা থাইমোকুইনোন নামক উপাদান ইনসুলিন নিঃসরণে সহায়তা করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ কমায়। সকালে এক চিমটি কালোজিরা গুঁড়ো গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
সতর্কতা:
উপরোক্ত দেশি খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে রাখলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। তবে যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি আপনি ওষুধ গ্রহণ করেন বা ইনসুলিন ইনজেকশন নেন।
ইমরান