ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

সুস্থ থাকার জন্য ডায়েট করার দরকার নেই!

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২৪ জুলাই ২০২৫

সুস্থ থাকার জন্য ডায়েট করার দরকার নেই!

অনেকেই মনে করেন সুস্থ থাকতে হলে ‘ডায়েট’ করতে হয়—মানে কম খেতে হয়, না খেয়ে থাকতে হয়। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, সুস্থ থাকার জন্য না খেয়ে থাকা নয়, বরং সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার বেশি খাওয়ার প্রয়োজন।

সুস্থতার জন্য খাবার কমানোর দরকার নেই, বরং প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, গুড ফ্যাট এবং ভিটামিন-অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে মাছ, মাংস, ডিম, টকদই, বাদাম, মৌসুমি ফল ও সবজি—এই সব খাবার দ্বিগুণ করে দিন ।

পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, হালকা শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে, প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট রোদে দাঁড়াতে হবে এবং ঘুম ঠিকঠাক হতে হবে। ঘুমের সময় ফোন সাইলেন্ট রাখা হলে ঘুমের মানও ভালো হয়।

অন্যদিকে, চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, সাদা চাল বা সাদা আটা দিয়ে তৈরি ভাত-রুটি এবং বীজজাত তেল (যেমন সয়াবিন তেল) খাওয়ার পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনলে দেহের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা ও হরমোনের ভারসাম্য স্বাভাবিক থাকে।

এটাই হলো ‘হেলদি ইটিং’। এই খাদ্যভ্যাসে খাবারের মোট পরিমাণ কমাতে হয় না—শুধু কম প্রোটিন আর বেশি কার্বোহাইড্রেটভিত্তিক ডায়েটের পরিবর্তে বেশি প্রোটিন ও ভালো ফ্যাটের দিকে ঝুঁকতে হয়।

অনেকে ‘ডায়েট’ বলতে যা বোঝেন—না খেয়ে থাকা, ক্যালোরি গুনে খাওয়া—তা আসলে প্রয়োজন হয় কেবলমাত্র যেসব ক্রীড়াবিদ বা শরীরচর্চাকারীরা নিজেদের পারফরম্যান্স বা শরীরের গঠনে পরিবর্তন আনতে চান, তাদের জন্য। অথবা যারা বিশেষ কোনো স্বাস্থ্যগত লক্ষ্যে দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের জন্য উপযোগী। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য শুধু হেলদি ইটিং-ই যথেষ্ট।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতন খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, হাঁটা এবং প্রাকৃতিক আলো গ্রহণ—এই কয়েকটি সহজ অভ্যাসই আপনাকে এনে দিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতা, কোনো ‘ক্রাশ ডায়েট’ ছাড়াই।

সানজানা

×