
ছবি: সংগৃহীত।
ডিজিটাল যুগে সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিংবা ভেঙে পড়ে মেসেজিংয়ের মাধ্যমে। আপনি কারো সঙ্গে টেক্সট মেসেজে নিয়মিত কথা বলছেন, কিন্তু তবুও মন থেকে একধরনের দূরত্ব অনুভব করছেন? এমনটা হতে পারে যদি আপনার সঙ্গী ইমোশনালি 'আনঅ্যাভেইলেবল'—মানে মানসিকভাবে অনুপস্থিত। একজন মনোবিজ্ঞানীর মতে, কিছু নির্দিষ্ট ধরণের টেক্সটিং আচরণ এরই ইঙ্গিত দেয়।
নিচে এমন তিনটি ‘রেড ফ্ল্যাগ’ বা সতর্ক সংকেত তুলে ধরা হলো, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন—আপনার সঙ্গী আদৌ মানসিকভাবে একটি সম্পর্কে সম্পৃক্ত কি না।
১. এক কথার উত্তর, বারবার
যেমন: “হুম”, “ঠিক আছে”, “দেখি”, “আছি”—এই ধরণের ছোট ও অস্পষ্ট উত্তর একাধারে বারবার দিলে সেটি শুধু অলসতা বা ব্যস্ততা নয়, বরং ইমোশনাল ডিস্ট্যান্সের প্রতিফলন হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি দীর্ঘ বার্তা পাঠান, আর তার জবাবে এক শব্দের রিপ্লাই আসে—তাহলে এটি একধরনের 'ডিসএঙ্গেজমেন্ট'। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এ ধরনের আচরণ দীর্ঘমেয়াদে মানসিক দূরত্ব তৈরি করে এবং সম্পর্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
২. কখনোই প্রথমে টেক্সট করে না
একটি সুস্থ যোগাযোগে দুই পক্ষই আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু যদি আপনি খেয়াল করেন যে—সবসময় আপনিই প্রথমে টেক্সট করছেন, এবং আপনার সঙ্গী কখনো আগ্রহ নিয়ে আলাপ শুরু করে না, তাহলে এটি একটি স্পষ্ট রেড ফ্ল্যাগ। এর মানে হতে পারে, সে হয়তো সম্পর্ক নিয়ে ততটা সিরিয়াস নয়, অথবা মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয় কাউকে সময় ও অনুভূতি দেওয়ার জন্য।
৩. এড়িয়ে যায় বা বদলে ফেলে সংবেদনশীল আলাপ
আপনি যদি কখনো সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বা ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা বলেন, আর আপনার সঙ্গী টপিক ঘুরিয়ে দেয় বা নিরুত্তর থাকে—তাহলে সেটি ইমোশনাল আনঅ্যাভেইলেবিলিটির বড় ইঙ্গিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা মানসিকভাবে অনুপস্থিত, তারা গভীর আলাপ থেকে দূরে থাকেন কারণ এতে তাদের আবেগগত অস্বস্তি হয়।
টেক্সটিং আচরণ ছোট একটি বিষয় মনে হলেও, তা গভীর মানসিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটায়। যদি আপনার সঙ্গীর মধ্যে উপরের লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে সম্পর্কের স্বচ্ছতা ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটোই বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। সম্পর্ক গড়ে ওঠে পারস্পরিক আন্তরিকতা, সম্মান ও মানসিক উপস্থিতির ভিত্তিতে—এবং তা অনুপস্থিত হলে সময় থাকতে বুঝে নেওয়াই শ্রেয়।
প্রয়োজনে পেশাদার কাউন্সেলিং নেওয়াও হতে পারে কার্যকর এক পদক্ষেপ।
নুসরাত