
ছবি: সংগৃহীত
আমরা অনেকেই মনে করি, অফিসে ভদ্র, সাহায্যকারী ও সবসময় ‘হ্যাঁ’ বলা মানুষ হওয়া মানেই সফলতা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত ‘ভালো’ হওয়ার প্রবণতা অনেক সময় ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। নিচে ৭টি কারণ তুলে ধরা হলো, কেন ‘অতিভদ্রতা’ আপনার পেশাগত জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে:
১. সবাই আপনার উপর কাজ চাপায়:
সবসময় সাহায্য করতে রাজি থাকলে সহকর্মীরা আপনাকেই বাড়তি কাজ দিয়ে দেয়। আপনি ‘না’ বলতে না পারায় একসময় ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে পড়েন।
২. কর্তৃত্ব হারান:
সবকিছুতে সায় দিলে কিংবা কারও সঙ্গে বিরোধে যেতে না চাইলে মানুষ আপনাকে গুরুত্ব দিতে চায় না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে।
৩. নিজের উন্নয়ন থেমে যায়:
অন্যদের কাজে সময় দিতে দিতে নিজের লক্ষ্য ও উন্নয়ন ভুলে যান। ফলে একই জায়গায় আটকে থাকেন।
৪. বার্নআউটের ঝুঁকি বাড়ে:
সবকিছু একা সামলাতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এতে কাজের মান কমে ও বিরক্তি তৈরি হয়।
৫. মতামত গুরুত্ব পায় না:
সবসময় শান্ত থাকতে গিয়ে আপনি হয়ত মিটিংয়ে মুখ খোলেন না, বা সৎ মত দেন না। এতে করে কেউ আপনার কথার গুরুত্ব দেয় না।
৬. সম্পর্ক হয়ে যায় একতরফা:
আপনি শুধু দিচ্ছেন, কিন্তু কিছুই পাচ্ছেন না—এমন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এতে হতাশা তৈরি হয়।
৭. শেখার সুযোগ হারান:
সবসময় ঝামেলা এড়িয়ে চললে কঠিন কাজ বা চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান। ফলে শেখা ও সামনে এগোনো বন্ধ হয়ে যায়।
ভালো ব্যবহার অবশ্যই জরুরি। কিন্তু ‘না’ বলা, সীমা টানা, ও নিজের প্রয়োজনের কথা বলা—এগুলোও পেশাগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতিভদ্রতা নয়, ভারসাম্যই আপনার সফলতার চাবিকাঠি।
এসএফ