ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০২ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

মোবাইল ফোন থেকে মনোযোগ সরাবেন যেভাবে!

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০২:১৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০২:১৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মোবাইল ফোন থেকে মনোযোগ সরাবেন যেভাবে!

ছবি: প্রতীকী

ঘুম থেকে উঠেই হাতে ফোনটা না নিলে যেন পূর্ণ হয় না সকালটা! কি আছে এই মোবাইল ফোনে। নিজের দিকে তাকালেও দেখা যাবে, একই অভ্যাস গড়ে উঠেছে দিনে দিনে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার মন ও শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ভিত্তিক চিকিৎসা-বিষয়ক নিবন্ধিত সমাজকর্মী টিম ক্লাইননেখট কয়েকটি পন্থা দিয়েছেন, যেগুলো অনুসরণ করে ফোনের ব্যবহার কমানো সম্ভব।

অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করা: ফোনের যে কোনো প্রকার আওয়াজ হওয়া মানেই, হাতে তুলে নেওয়া হবেই। প্রয়োজনীয় মেসেজ বা নোটিফিকেশনের আওয়াজ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশিরভাগ সময়ই নোটিফিকেশনগুলো থাকে গুরুত্বহীন।

যেমন- কোনো দোকানের তথ্য, ফেইসবুকের কোনো অপ্রয়োজনীয় পেইজের আপডেট, গেইমস বা ফোনে থাকা অন্যান্য অ্যাপ’য়ের তথ্য। সারাক্ষণ এগুলোর নোটিফিকেশন আসতে থাকলে মনোযোগ সেদিকে যেতে বাধ্য। তাই অপ্রয়োজনীয় পেইজ, গেইম বা অ্যাপগুলোর সমস্ত নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিতে হবে। এতে ফোন হাতে নেওয়ার প্রবণতা কমবে।

নিয়ন্ত্রিত সেটিংস: অনেক ফোনেই এই ধরনের সুবিধা দেওয়া থাকে। সেগুলো চালু করে ফোন ব্যবহারের সময় কমানো যায়। যেমন একটি হল ‘ডু নট ডিসটার্ব মুড’। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর পন্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করা যায়।

ধীরে শুরু করা: কোনো অভ্যাস একেবারে ছাড়া যায় না। সারাক্ষণ ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করার অভ্যাসও একবারে কমানো সম্ভব হবে না। এ জন্য ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় কম ফোন দেখার মাধ্যমে এই অভ্যাস গড়া যায়।

শূন্যস্থান পূরণ করা: যে সময়টা ফোন ব্যবহার করা হবে না সেই সময়টা অন্য কিছুতে মনোযোগ দিতে হবে। এতে পুনরায় ফোন হাতে নেওয়ার ইচ্ছেটা দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে। হতে পারে সেটা কোনো সখ পূরণ করা, বই পড়া, রান্না করা, শারীরিকভাবে পাড়া প্রতিবেশির খোঁজ নেওয়া কিংবা বাইরে থেকে হেঁটে আসা।

কার্যকর সীমারেখা তৈরি করা : ঘরের ভেতরেই এমন জায়গা নির্বাচন করা যেতে পারে, যেটা হবে ‘মোবাইল ফ্রি জোন’। যেমন- খাবার ঘর। ফোন বাদ দিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে গল্প করতে করতে খেলে যেমন পারিবারিক বন্ধন উন্নত হয় তেমনি মানসিকভাবে ফোন ব্যবহার কম করার ক্ষেত্রে সীমারেখা তৈরি হবে। আবার ঘরে নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করা যেতে পারে, যে সময়টায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হবে না। যেমন- ঘুমানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগ থেকে ফোন দেখা বন্ধ করে বই পড়া শুরু করা।

এভাবে অভ্যাস করলে বিছানায় শুয়ে ফোন দেখা বন্ধ হবে, আর ভালো ঘুমও হবে রাতে।

শহীদ

×

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার