ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রকাশিত: ০১:১৯, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

ছবি: সংগৃহীত।

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকের জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে। এটি সাধারণত মলত্যাগে সমস্যার সৃষ্টি করে, যেমন মল কঠিন হয়ে যাওয়া বা নিয়মিত মলত্যাগ না হওয়া। কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যা খাদ্যাভ্যাস, পানিশূন্যতা, শারীরিক ব্যায়ামের অভাব, এবং কখনও কখনও মানসিক চাপের কারণে হতে পারে। যদিও এ সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়, তবে অনেক সময় সাধারণ ঘরোয়া উপায়ও কার্যকরী হতে পারে। আজকে আমরা জানবো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া চিকিৎসা।

১. প্রচুর পানি পান করা

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো শরীরে পানির অভাব। পানি শরীরের পুষ্টি ও বিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং মলকে নরম করে মলত্যাগের প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। পানি পান করলে হজমের প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে কমে আসে।

২. আমলকি 

আমলকি একটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। প্রতিদিন একটি আমলকি খাওয়া বা আমলকির রস পান করা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়ক হতে পারে। এছাড়াও আমলকি পেটের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

৩. ফ্ল্যাক্সসিড 

ফ্ল্যাক্সসিডে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি পেটের যন্ত্রণা কমায় এবং সহজে হজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২ চা চামচ ফ্ল্যাক্সসিডের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে মলত্যাগ সহজ হয়ে যায়।

৪. গরম পানি এবং মধু

গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দ্রুত দূর হতে পারে। গরম পানি পেটের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, আর মধু শরীরের জন্য একটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। এটি মলত্যাগকে প্রাকৃতিকভাবে সহজ করে দেয়।

৫. লেবুর রস

লেবুর রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ কার্যকরী। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেবুর রস ও গরম পানি পান করা মলত্যাগে সহায়তা করে।

৬. পাকা কলা

পাকা কলা একটি প্রাকৃতিক ফাইবার উৎস। এতে থাকা পেকটিন এবং আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি পাকা কলা খাওয়ার অভ্যাস করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাটি অনেকাংশে দূর হতে পারে।

৭. তেল/ঘি

তেল বা ঘি নিয়মিত খাওয়ার ফলে পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। একটি চামচ তেল বা ঘি পেটের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৮. শসা

শসাতে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার রয়েছে, যা পেটের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং মলকে নরম করে। শসা স্যালাড হিসেবে বা সরাসরি খাওয়া যেতে পারে।

তবে, যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা গুরুতর আকার ধারণ করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নুসরাত

×