ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

পুরুষের স্তন বড় হওয়ার কারণ ও করণীয়

প্রকাশিত: ১১:২০, ৯ জুলাই ২০২৩

পুরুষের স্তন বড় হওয়ার কারণ ও করণীয়

ফাইল ছবি।

অনেক সময় পুরুষের স্তন অস্বাভাবিক বড় হয়ে যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে গাইনেকোমাস্টিয়া। শারীরিক এই পরিবর্তন যেমন অস্বস্তিকর, অনেকের জন্য তেমনি আবার দুশ্চিন্তারও কারণ। বিশেষ করে কিশোরদের জন্য এ সমস্যা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, সতীর্থদের কাছে বুলিংয়েরও শিকার হতে দেখা যায়। 

গাইনেকোমাস্টিয়া নবজাতক, বয়ঃসন্ধিকাল ও বয়স্ক পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এদের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালীন গাইনেকোমাস্টিয়া বেশি উদ্বেগের কারণ। সাধারণভাবে শতকরা ৭৫ শতাংশ পুরুষের বয়ঃসন্ধিকালে খুব অল্প সময়ের জন্য স্তন বড় হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। তবে এই পরিবর্তন যদি বেশি দিন স্থায়ী হয় বা স্তন অনেক বড় হতে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কেন হয় এই গাইনেকোমাস্টিয়া?

গাইনেকোমাস্টিয়ার নানা কারণ আছে। তার মধ্যে প্রধান হলো হরমোনের তারতম্য ও ভারসাম্যহীনতা। তবে অনেক সময় স্তনে চর্বি জমলেও স্তন ঝুলে যেতে পারে। সেটা কিন্তু গাইনেকোমাস্টিয়া নয়। এটি নবজাতক, বয়ঃসন্ধিকালে বা বয়ঃসন্ধিকালের আগে এবং বৃদ্ধ অবস্থায় বেশি করে দেখা যায়। বিভিন্ন ওষুধের সাইড এফেক্টের জন্য, রক্তে ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্য, টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যাওয়া, বা কোনো বড় রোগের পূর্বাভাস হিসেবেও এটি আসতে পারে। লিভারের কোনো রোগ, বা অণ্ডকোষের কোনো সমস্যা এর জন্যেও গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর সঠিক কারণটা জানা যায় না।

এর জন্য কি করণীয়?

প্রথমেই দেখতে হবে কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে এটি হয়েছে কিনা। বেশ কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টি সাইকোটিক ওষুধ এ সমস্যা তৈরি করে। তাই সেগুলো ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ যেমন অ্যান্টি অ্যানড্রোজেন এবং ডিএনআরএইচ অ্যানালগগুলো গাইনেকোমাস্টিয়া সৃষ্টি করে। তাই কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় এমনটা হচ্ছে বুঝলে, সেই ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে। অণ্ডকোষে টিউমার হলে সেক্ষেত্রে শরীরে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এসব করেও যদি না কমে তাহলে অপারেশনই একমাত্র পথ। স্বাভাবিক অস্ত্রোপচারেই এ সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। ছেলেদের স্তনে এ ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করলে লজ্জা না পেয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

এমএম

×