ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাত জেগে থাকলে শরীরের যেসকল পরিবর্তন হয়

প্রকাশিত: ২১:১১, ২২ মার্চ ২০২৩

রাত জেগে থাকলে শরীরের যেসকল পরিবর্তন হয়

রাত জাগার প্রবণতা

বর্তমান সময়ে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে রাত জাগার প্রবণতা বেশি। বড়দের মত এখন বাচ্চারাও রাতে দেরি করা ঘুমায়। কিন্তু এই অভ্যাস শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা জানেন না অনেকেই।

রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে না ঘুমালে বা ঘুম থেকে জেগে উঠলে সেরোটোনিন হরমোন কমে যায়। রাতে অর্থাৎ অন্ধকারে এই হরমোন বাড়ে। এটি মনকে শান্ত করতে ও ঘুমাতে সাহায্য করে।

এছাড়া এই হরমোন দ্রুত চোখের চলাচল (আরইএম) প্রভাবিত করে। যা ইলেক্ট্রোফিজিওলজিক্যাল, নিউরোকেমিক্যাল, জেনেটিক ও নিউরোফার্মাকোলজিক্যাল ভিত্তিতে ঘুমের ক্ষেত্রে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।

পাশাপাশি ডোপামিন হরমোনের ঘাটতি হয়। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম করতে পারে না। শরীরের বাকি অংশও বিশ্রাম পায় না। ফলে শরীর নিজেকে পরিষ্কার করতে ও পুনরায় চালু করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

এই সময় যারা জেগে থাকেন তাদের ঘুমের চক্র নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। অলসতা বাড়ে ও কাজে মনোযোগ কমে যায়। পাশাপাশি বমি বমি ভাব হয়, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

রাতের এই সময় না ঘুমালে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চলুন জেনে নিই কী ধরনের অসুখ দেখা দেয়।

রাত জাগলে শরীরের উপর এক ধরনের চাপ পড়ে। এতে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় ও উদ্বেগের সমস্যা বাড়ে। তাই যারা নিয়মিত রাত জাগেন তাদের মেজাজের পরিবর্তন খুব দ্রুতই ঘটে।

উচ্চ রক্তচাপ

রাতে এই সময় না ঘুমালে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অল্প বয়সেই উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট সংক্রান্ত রোগ দেখা দিতে পারে।

স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক

ঘুম কম হলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। হঠাৎ করেই স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

বিষণ্ণতা

অনিদ্রা হলে বিষণ্ণতা দেখা দেয়। কারণ, সেরোটোনিন বা হ্যাপি হরমোনের ঘাটতি হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন থাকলে তা মানসিক রোগেও পরিণত হতে পারে।

খুব জরুরী প্রয়োজন না হলে রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অবশ্যই ঘুমাতে হবে। যদি অনিদ্রাজনিত সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে। বেশি সমস্যা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া ঠিকমত না হলে দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই সুস্থ থাকতে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

এমএস

×