ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা 

প্রকাশিত: ২১:০০, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩

সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা 

সেদ্ধ ডিম

সব বয়সীর জন্যই ডিম উপকারী। সেইসঙ্গে সুস্বাদু বলে সবাই খেতে পছন্দ করেন। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। একটি বড় ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রামের মতো হয়ে থাকে। একটি সেদ্ধ ডিমে থাকে ৭৭ ক্যালোরি। সেইসঙ্গে থাকে ৬.৩ গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন। ডিম খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বার বার ক্ষুধা লাগা এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ভয় থাকে না। 

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা ডিম সেদ্ধ করে অনেকক্ষণ পর্যন্ত রেখে খান। দোকানে যে সেদ্ধ ডিম বিক্রি করা হয় তা কতক্ষণ আগের সেদ্ধ কার সেটিও বোঝার উপায় থাকে না। তাই সেদ্ধ ডিম কতক্ষণ পর্যন্ত রেখে খাওয়া যাবে তা জানা জরুরি।

দোকানের সেদ্ধ ডিম নিরাপদ কি না বোঝার উপায়
ডিমের খোসা চটচটে হয়ে গেলে কিংবা এর ভেতরের রং কালচে হয়ে গেলে বুঝতে হবে ডিমটি খাওয়ার উপযোগী নয়। নষ্ট ডিম কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। কারণ এর ফলে বমি, ডায়েরিয়া, নার্ভাসনেসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিমের কুসুমের রং সবুজ মানেই সেটি নষ্ট নয়। অতিরিক্ত সময় ধরে রান্না করলে ডিমের কুসুম সবুজ হয়ে যেতে পারে।

সেদ্ধ ডিম সংরক্ষণ করার পদ্ধতি
ডিম ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪.৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। মনে রাখবেন, খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায় না। ডিম সেদ্ধ করার পর তা সাধারণ তাপমাত্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে। আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর তথ্য মতে, সিদ্ধ করার পর সাধারণত দুই ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত। এরপর ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যাবে। তবে খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখা যাবে না।

সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে এয়ার টাইট পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ হতে পারে। কারণ সেদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে রাখলে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। তবে এটি ক্ষতিকর নয়। ফ্রিজে সেদ্ধ ডিম রাখলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। স্বাদেও কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে।

 

 

এমএস

×