শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে

শিশুর আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে বাবা-মাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন। একটি শিশুর শৈশব থেকেই ইতিবাচক মনোভাব ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা উচিত। এটা ঠিক যে প্রত্যেক বাবা-মা তাদের শিশুকে প্রায় সব সময়ই ভাল কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকেন, তবে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য হয়তো বাবা-মা বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে ভুলে যান। শিশুকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী। শিশুর সব কাজ করে দেবেন না সন্তান কখন নিজের কাজ নিজে করতে পারবে, বাবা-মা হিসেবে এটা বোঝা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর নিজের কাজ নিজেকে করতে দিলে সে যেমন স্বনির্ভর হতে শেখে তেমনি তার দক্ষতাও বাড়ে এতে। যেমন- জামা কাপড় নিজে পরা, নিজের ছোট ছোট কাজ নিজে করা এসব শিশুকে নিজে থেকে করতে দিন। তুলনা করা বন্ধ করুন আপনার শিশু হয়তো লেখাপড়া, খেলাধুলা বা সাংস্কৃতিক কর্মকাে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছে না। এক্ষেত্রে তার ওপর রাগ করা থেকে বিরত থাকুন। কখনও আপনার সন্তানকে তার ক্লাসমেট বা বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে সে আরও ভেঙ্গে পড়ে লেখাপড়া বা অন্য কাজে নিরুৎসাহিত হয়ে উঠতে পারে। ঘরের কাজ শেখান তাদের শিশুদের এমন কিছু দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে, যাতে করে তারা ঘরের কিছু কাজে আপনাদের সাহায্য করতে পারে। এই ধরনের দায়িত্ব পেয়ে শিশু নিজেকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে ভাবতে শিখবে। ঘর পরিষ্কার করা, নিজের বিছানা গোছানো, নিজের ব্রেকফাস্ট বা খাবার নিজে নিয়ে যাওয়া, এমন সব কাজে শিশুকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। ব্যর্থতা সামলে নিতে শেখান লেখাপড়া, খেলা বা অন্য কিছুতে ব্যর্থ হলে শিশুকে শাসন করার পরিবর্তে তাকে ঐ পরিস্থিতি সামলে উঠতে সাহায্য করুন। তাকে বুঝান যে কেউই পারফেক্ট না। সবাই স কিছু পারে না। এতে করে শিশু ছোটবেলা থেকেই নিজেকে ভালবাসতে পারবে ও তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত প্রশংসা করবেন না শিশুর ভুলের জন্য তাকে বেশি শাসন করা যেমন ঠিক না, তেমনি কোনও কাজে সফল হলে তার অতিরিক্ত প্রশংসা করবেন না। এতে করে সে আরও সফল হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। যা শেখাচ্ছেন সেটি নিজে পালন করুন শিশুরা বাবা-মায়ের আচরণ দেখেই শিখে। তাই সন্তানের নিজের প্রতি ভালবাসা ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলার আগে নিজেকে ভালবাসুন। আপনার সফলতা উদযাপন করুন, ব্যর্থতা থেকে শিখুন। এসব কিছু যেন আপনার সন্তান দেখে শিখতে পারে, সে সুযোগ দিন তাদের। শিশুর শখ সমর্থন করুন আপনার শিশু কি করতে ভালবাসে, তার শখগুলো কী, সেসব জানতে প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা বলুন। তার স্বপ্ন পূরণে সমর্থন দিন। এতে করে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।