ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডেটিং ড্রেস

জলি রহমান

প্রকাশিত: ০০:৪৯, ৩ অক্টোবর ২০২২

ডেটিং ড্রেস

মডেল : রাতুল ও জুঁই

অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না। এবার হৃদয় মাঝে লুকিয়ে বোসো, কেউ জানবে না, কেউ বলবে না। রবী ঠাকুরের প্রেমের কবিতার অংশ বিশেষ। যুগে যুগে ভালবাসা নিয়ে রচিত হয়েছে নানা কবিতা-গান। জীবন যাপনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ প্রেম। ভালবাসার মানুষটি যখন হাত ধরে বলে-সখী চলনা হারিয়ে যাই দুজন মিলে, যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই চলে যাই। এ আহ্বানে থাকে হৃদয় নিংড়ানো ব্যাকুলতা। তবে দূর অজানায় নাই হোক ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে গন্তব্যহীন সারাদিন হেঁটে চলার মাঝেও থাকে অফুরন্ত ভাললাগা। এই ভাললাগার ডাকে সাড়া দিতে থাকে কত রকমের প্রস্তুতি। এরমধ্যে অন্যতম হলো পোশাক।   কেমন হবে সেই পোশাক। যা পরলে প্রিয়তমার কাছে আরও প্রিয় হওয়া যায়।  
বয়সভেদে পোশাকে আসে বৈচিত্র্য। কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে পড়া মেয়েরা সাধারণত টপস ও জিন্সে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। টিনএজরা যখন বিশেষ মানুষটির সঙ্গে ঘুরতে যাবেন, অনায়াসেই এই পোশাকটি বেছে নিতে পারেন ডেটিংয়ের জন্য। যে কোন মার্কেটেই পাওয়া যায় বৈচিত্র্যময় টপস, যা জেগিংস বা লেগিংস এর সঙ্গে পরলে বেশ স্মার্ট ও ফ্যাশনেবল লাগে। আবার আজকাল ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেরা টি-শার্ট এবং ডেনিম কাপড়ের প্যান্টই বেশি পড়ছেন। আর এই পোশাকটিই হতে পারে ডেটিং এর জন্যও উপযুক্ত।
প্রেমের কোন বয়স নেই। জীবনের যে কোন সময়ই মনের মাঝে কোন বিশেষ মানুষের জন্য ভালবাসার জন্ম হতেই পারে। আর মন মানে না কোন বাধা। তাইতো মধ্যবয়সী নর-নারীর প্রেমের আখ্যান প্রায়ই চোখে পড়ে। বিভিন্ন পার্ক, হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের রোমান্টিকতা। তবে এই সময়টায় সবাই কর্মব্যস্ত থাকে। আর অফিসের নানা পোশাকের ভিড়ে হয়তো ভাবনায় আসে, কোন পোশাকটি পরব, যেহেতু ভাললাগার মানুষটির সঙ্গে দেখা হবে। এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রমভাবে নিজেকে উপস্থাপন করলে ভাল লাগবে। আজকাল সকল অফিসেই অধিকাংশ নারীরা পরছে ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্নের সালোয়ার-কামিজ। তাই বিশেষ দিনটির জন্য শাড়ি বেছে নিতে পারেন। বাঙালী নারীরা শাড়িতে সর্বদাই অনন্যা। আর পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি-পায়জামা। এখনকার পুরুষদের পাঞ্জাবির সঙ্গে জিন্স প্যান্ট পরতে বেশি দেখা যায়।

এতে দেখতেও বেশ লাগে। তাই পোশাকে কিছুটা বৈচিত্র্য রাখতে পরতে পারেন সুন্দর রঙের পাঞ্জাবি এবং ডেনিম কাপড়ের প্যান্ট।
পোশাক নিয়ে তো অনেক কিছু বলা হলো, এবার পোশাকের রং কেমন হওয়া উচিত সেটাওতো জানা প্রয়োজন। আমরা জানি ভালবাসার রং লাল। সত্যিকার অর্থে ভালবাসার কোন রং নেই। আপনার প্রিয় রংই হতে পারে ভালবাসার রং। তাই কোন নির্দিষ্ট রং কে ভালবাসার পোশাকে প্রাধান্য না দিলেও চলবে। হতে পারে লাল রং যেহেতু হৃদয় লাল। আবার কেউ নীলকেও বেছে নিতে পারেন। কেননা আকাশের বিশালতা নীল। আবার সাদা হচ্ছে পবিত্রতার প্রতীক। তাই সাদাও হতে পারে ভালবাসার সুন্দর একটি রং।
ড্রয়ার ভরা জামা-কাপড় তবুও মনের মতো ড্রেসটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে চলে যান কোন শপিং মলে বেছে নিন মনের মতো ড্রেসটি। সম্ভব হলে কিনতে পারেন যুগল পোশাক। কাছের মানুষটির কাছে এটা হতে পারে সেরা উপহার। আর যারা কর্মরত তাদেরতো মার্কেটে যাবারও ফুসরত নেই তাদের জন্য রয়েছে অনলাইন মার্কেট। অনলাইনে কেনাকাটার বিভিন্ন পেইজ আছে, সেখান থেকেও আপনার পছন্দনীয় ড্রেসটি বেছে নিতে পারেন। ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত হোক আনন্দঘন।   
সবশেষে যা না বললেই নয়, ভালবাসার গভীরতা কোন কিছুর ওপর নির্ভর করে না। এর কোন রং থাকে না। কোন বিশেষ পোশাক থাকে না। যে ভালবাসে সে একটি মানুষকে ভালবাসে। অন্যসবকিছুই আপেক্ষিক তবুও সবাই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে চায়। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকেই অনেক আয়োজন থাকে পোশাক-পরিচ্ছেদ নিয়ে।

 

×