
পুত্রসন্তান না থাকলে একজন পুরুষের মৃত্যুর পর তার সম্পত্তিতে কন্যাসন্তানরাই প্রধান উত্তরাধিকার হন—তবে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, পুরো সম্পত্তি কেবল তাদের একক দখলে চলে যায় না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার লিমা আনজুমান সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, "যদি কোনো ব্যক্তির পুত্র না থাকে, তবে মৃত্যুর পর তার কন্যাসন্তানরা মোট সম্পত্তির ৮ ভাগের ৬ ভাগ পাবে। বাকি ২ ভাগের এক ভাগ পাবে তার স্ত্রী, এবং আরেক ভাগ পাবে আত্মীয়স্বজন।"
তিনি আরও জানান, আত্মীয়স্বজনের অংশে থাকে মৃত ব্যক্তির ভাইবোন বা তাদের সন্তানরা। যদি ভাইবোন জীবিত না থাকেন, তাহলে তাদের সন্তানরাই (ভাইয়ের বা বোনের ছেলে-মেয়ে) চাচার সম্পত্তিতে অংশীদার হবেন।
এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে ব্যারিস্টার লিমা আনজুমান মূলত ইসলামী উত্তরাধিকার আইনের বাস্তব প্রয়োগ ও সামাজিক ধারণার মধ্যকার বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করেন।
হেবা দলিল না থাকলে মৃত্যুর পরে সম্পত্তি বণ্টনে ইসলামি শরিয়তই চূড়ান্ত ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। হেবা বা জীবদ্দশায় দান করলে এক প্রকারে সম্পত্তি নির্দিষ্টভাবে কাউকে দেওয়া যায়; কিন্তু হেবা না থাকলে, শরিয়তের উত্তরাধিকার বণ্টন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট নিয়মে সম্পত্তি ভাগ হয়ে থাকে।
ব্যারিস্টার লিমা জানান, বহু পরিবারেই ভুল ধারণা প্রচলিত যে কন্যাসন্তানরা সম্পূর্ণ বঞ্চিত হন, অথচ শরিয়তের দৃষ্টিতে তাঁদের সুনির্দিষ্ট, সম্মানজনক অংশ বরাদ্দ আছে, বিশেষ করে পুত্র না থাকলে।
এই প্রসঙ্গে তিনি সবাইকে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সঠিক আইনি পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান।
Jahan