ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিডিএস জরিপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ: জমি রেকর্ড করতে মালিকদের ৫ করণীয়

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৭:১৭, ৩ জুন ২০২৫

বিডিএস জরিপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ: জমি রেকর্ড করতে মালিকদের ৫ করণীয়

ছবি: সংগৃহীত

চলমান বিডিএস (Bangladesh Digital Survey) জরিপে জমি মালিকদের অসচেতনতা ও প্রস্তুতির অভাবে অনেক সময় জরিপ রেকর্ড সঠিকভাবে মালিকের নামে না হয়ে পড়ছে ভুল ব্যক্তির নামে। এতে পরবর্তীতে আদালতে মামলার জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আইনজীবী রেজাউল ইসলাম খান সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় ভূমি মালিকদের জন্য জরুরি ৫টি করণীয় তুলে ধরেছেন, যা সঠিকভাবে পালন না করলে বিডিএস জরিপে জমির রেকর্ড নিজের নামে নাও হতে পারে।

১. জমির মালিকানার প্রমাণাদি প্রস্তুত রাখা

আইনজীবী রেজাউল বলেন, প্রথম ধাপেই জমির মালিকানার সব প্রামাণ্য কাগজপত্রযেমন দলিল, নামজারি খতিয়ান, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন করের দাখিলা ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে হবে। এগুলো জরিপকারীর সামনে উপস্থাপন করতে না পারলে মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

২. জমির সীমানা নির্ধারণ ও সঠিকভাবে চিহ্নিতকরণ

দ্বিতীয় ধাপে জমির বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য জমির আইল সোজা করে রাখা, সীমানা পিলার বসানো এবং একটি সঠিক নকশা (কিস্তয়ারা) প্রস্তুত রাখা জরুরি। জরিপকারীরা যেন মাঠপর্যায়ে জমির সীমানা সহজেই চিহ্নিত করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা মালিকের দায়িত্ব।

৩. খানাপুরি পর্চা গ্রহণ ও যাচাই

তৃতীয় ধাপে জরিপ দল জমি পরিদর্শন শেষে মালিকের কাগজ যাচাই করে খানাপুরি বা মাঠপর্যায়ের পর্চা তৈরি করে। এতে দাগ, খতিয়ান, মালিকের নাম-ঠিকানা, দলিল নম্বর ইত্যাদি থাকে। এটি তৈরির পর মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং তিনি এটিকে সত্যায়িত (তসদিক) করে নেন। এটি জরিপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৪. সব তথ্য ও কাগজ পর্যালোচনা

চতুর্থ ধাপে প্রাপ্ত কাগজগুলোবিশেষত জমির নকশা ও খতিয়ানভালোভাবে খতিয়ে দেখা জরুরি। কোনো ভুল বা বিভ্রান্তি (যেমন দাগ বিভাজন, নাম বা ঠিকানায় ভুল) থাকলে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে হয়। এর জন্য নির্ধারিত ফর্ম আছে।

৫. ভুল থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে আপত্তি

জমির খতিয়ান বা নকশায় কোনো ত্রুটি থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে আপত্তি জানিয়ে সংশোধনের আবেদন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সংশোধনের আবেদন না করলে রেকর্ড ফাইনাল প্রিন্টে চলে যাবে, যা পরে শুধরে নিতে হলে আদালতের আশ্রয় নিতে হতে পারে।

আইনজীবী রেজাউল ইসলাম খান পরামর্শ দেন, যারা দেশের বাইরে আছেন, তাদের প্রতিনিধি পাঠানোর আগে বিশ্বস্ত ও নিজস্ব কাউকে বেছে নিতে হবে। অনাস্থাবান বা প্রতারক প্রতিনিধি ভুল রেকর্ডের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সম্ভব হলে জমির মালিক নিজেই উপস্থিত থেকে জরিপ কাজ তদারকি করা উচিত।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=9za9frI_Pgg

রাকিব

আরো পড়ুন  

×