
ছবিঃ সংগৃহীত
ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান বলেছেন, অনেক সময় দেখা যায়, পিতার অকাল মৃত্যুর পর সন্তানেরা যখন ছোট থাকে, তখন চাচারা সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে নানা রকম বিলম্ব করেন বা সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে চান না। বিশেষ করে পিতা বা দাদার রেখে যাওয়া সম্পদের অবস্থান ও পরিমাণ সম্পর্কে পরিবার কিছুই জানে না। এই সুযোগে অনেক সময় চাচা বা ফুফুরা এসব সম্পদ নিজেদের দখলে রেখে দেন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রথমে পরিবারে আলোচনা করে মীমাংসার চেষ্টা করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সমঝোতা হলে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে লিখিতভাবে 'আপস বণ্টননামা' করে নেওয়া যেতে পারে। তবে যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে সিভিল কোর্টে ‘পার্টিশন সুট’ বা বাটোয়ারা মামলা দায়ের করতে হবে।
তিনি আরও জানান, সম্পত্তি যে এলাকায় অবস্থিত, সেই এলাকার ভূমি অফিস বা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে প্রয়োজনে দাদার বা পিতার নামে জমির খোঁজ নিয়ে দলিলের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করা যেতে পারে। এরপর একজন অভিজ্ঞ সিভিল লয়ারের সহায়তায় মামলা করা উচিত।
ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান সতর্ক করে বলেন, পার্টিশন সুট বা বাটোয়ারা মামলা দীর্ঘমেয়াদি হয়। সাধারণত এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তি হতে তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যায়। তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরি।
তথ্যসূত্রঃ https://youtube.com/shorts/isg5YmcmCtM?si=Bzsu-ma5irmWJXl4
মারিয়া