
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরুর পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরাইল। নেতানিয়াহু প্রশাসনের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি অবস্থান নিয়েছে বিশ্বের প্রভাবশালী তিন দেশ—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা।
এই তিন দেশ একযোগে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ না হলে ইসরাইলকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। অভিযানের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ক আলোচনা স্থগিত করেছে ব্রিটেনের লেবার প্রশাসন। তলব করা হয়েছে লন্ডনে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকেও।
গত শুক্রবার ‘অপারেশন গিডিয়ন্স চ্যারিয়ার্স’ নামে গাজায় নতুন অভিযান শুরু করে ইসরাইল। ট্যাংক, যুদ্ধবিমান এবং হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা নিয়ে ভয়ঙ্কর রূপে মাঠে নামে আইডিএফ। মাত্র পাঁচ দিনের অভিযানে প্রাণ হারায় প্রায় ৬০০ গাজাবাসী। নির্মম এ হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এই প্রেক্ষাপটে নেতানিয়াহু প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে তাদের পাশে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। একই সঙ্গে গাজায় অবিলম্বে ত্রাণ সরবরাহের বাধা দূর এবং পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতির সম্প্রসারণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তারা। এসব দাবি অমান্য হলে কড়াভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশগুলো।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্পেনও। দেশটি ইসরাইলকে ইউরোভিশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আয়োজন থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রু সানচেজ।
এদিকে, ইউরোপের ২২টি দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়ে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে। সব মিলিয়ে নেতানিয়াহু প্রশাসন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। গাজা যুদ্ধ নিয়ে এতদিন নীরব ভূমিকা পালন করা দেশগুলো এবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসিফ