ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

.

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ১ আগস্ট ২০২৫

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

.

বিসিএস ক্যাডার হবার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রথম থেকেই ভালোভাবে মনে গেঁথে রাখতে হবে সেটি হচ্ছে, বিসিএস প্রিলিমিনারিতে পাস করলেই শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাক পাওয়া যায়। কিন্তু প্রিলিমিনারিতে প্রাপ্ত নম্বর ক্যাডার হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব রাখে না। তবে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে ভাইভায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করেই সুপারিশের জন্য চূড়ান্ত মেধাতালিকা তৈরি করে পিএসসি। এ কারণে কাক্সিক্ষত ক্যাডার পাবার বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর অনেক বেশি প্রভাব রাখে। তাই লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে খুবই মনোযোগের সঙ্গে।
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য করণীয়
যতটা সম্ভব বেশি সময় নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করবেন। এক্ষেত্রে অনার্সে ভর্তির পর থেকেই লক্ষ্য ঠিক করে নিয়ে এগোনোটা ভালো। আপনি পারবেন এই ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হোন। পড়াশোনার রুটিন তৈরি করে সেটি যথাযথভাবে অনুসরণ করুন। পড়াশোনায় টার্গেট ঠিক করুন এবং যেভাবেই হোক সেই টার্গেট সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করুন। কোনো বিষয়ে পড়তে পড়তে ক্লান্ত বোধ করলে যে বিষয়টি পড়তে আপনার ভালো লাগে সেটি পড়ুন। কিন্তু পড়া থামাবেন না। টাইম ম্যানেজমেন্ট কৌশল অর্থাৎ কোন বিষয়ে, কোন প্রশ্নে কী পরিমাণ সময় ধরে লিখবেন সেটি ঠিক করে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারলে ভালো হবে। সব কিছুই যে আপনাকে পড়তে হবে, জানতে হবে এমন নয়। প্রয়োজনীয় টপিকটিই বেশি বেশি পড়ুন। যে বিষয়টি মনে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে বলে মনে হবে, সেটি মনে রাখার পেছনে বেশি সময় দেবেন না। বরং তার বিকল্পসমূহে মন দিন। কাউকে অনুকরণ করতে যাবেন না।
 যারা এর আগে সাফল্য পেয়েছে তাদের কথা শুনুন, অনুপ্রেরণা নিন, কিন্তু অনুকরণ করবেন না। নিজের পড়ার রুটিন, সাজেশন নিজেই তৈরি করুন। যে ভাষায় আপনি দ্রুত লিখতে পারেন উত্তর করার জন্য সেটিই বেছে নিন। ভালো ঘুম আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে। তাই কম ঘুমালেও সেটি যেন নিরবচ্ছিন্ন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রতিদিনই অনুবাদ, ব্যাকরণ, গণিত এবং মানসিক দক্ষতা বিষয়গুলো চর্চা করুন। ইংরেজিতে ভালো করবার জন্য সঠিক বানানের প্রতি মনোযোগ দিন। সহজ বাক্য লিখুন, তবে অবশ্যই সেটি শুদ্ধভাবে লিখুন। ইংরেজিতে প্রতিদিন কোনো না কোনো টপিকের ওপর অন্তত ৫-৭ পৃষ্ঠা লেখার চেষ্টা করুন। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ভালো করার জন্য জব সলিউশন তথা আগের বছরসমূহের প্রশ্নের সমাধান করা জরুরি। প্রশ্ন কঠিন হবে নাকি সহজ হবে এসব নিয়ে টেনশন করবেন না। মনে রাখবেন, যা হবে সেটা আপনার জন্য যেমন হবে ঠিক তেমনিভাবে অন্যদের জন্যও হবে। তথ্যবহুল লেখা বেশি বেশি পড়বার চেষ্টা করুন। লেখার ক্ষেত্রেও তাই। অকারণে বেশি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না লিখে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা লিখার চেষ্টা করুন। হাতের লেখা সুন্দর না হলেও যেন স্পষ্ট হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে উত্তরের শেষাংশে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, কলামিস্ট এবং আপনার মতামত ও বিশ্লেষণ দেবার চেষ্টা করুন। গ্রন্থ সমালোচনা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য বিষয়ের বহুল পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ বইসমূহের বিষয়ে ধারণা গড়ে তুলুন। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে লাগতে পারে এমন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করুন এবং তা সেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের পাশে লিখে রাখুন। প্রয়োজনীয় চিত্র ও ম্যাপ আঁকা শিখার জন্য নিয়মিত চর্চা করুন। পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন ছেড়ে আসা যাবে না। সব প্রশ্নেরই উত্তর করতে হবে।
চাকরি বাজার ডেস্ক

প্যানেল

×