ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

শিউলী আহমেদ

প্রকাশিত: ০১:৪৭, ৪ নভেম্বর ২০২২

৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

আগামী ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত চলবে ৪৪-তম বিসিএস পরীক্ষা

আগামী ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত চলবে ৪৪-তম বিসিএস পরীক্ষার আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন ৪৪-তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য।

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল অনলাইনে আবেদনের সময়। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। গত ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়। ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী পাস করেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায়।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিলো ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেয়া হবে। তার মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, অনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডরে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাক ও টেলিযোগাযোগে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে লিখিত পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য পরে কমিশনের ওয়েবসাইট হতে জানা যাবে।
৪৪-তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পরীক্ষার্থীরা এবার প্রস্তুতির জন্য অন্যান্য বারের চেয়ে কম সময় পেয়েছেন। প্রিলিমিনারির পর এবার সময় ছিল মাত্র ৪ মাস। প্রথমবার যারা লিখিত পরীক্ষা দেবেন তারা হয়তো কিছুটা চিন্তিত আছেন কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন। কিন্তু যারা চাকরি পাবেন তারা এই ৪ মাসেই যা প্রস্তুতি নেয়ার নিয়ে নিচ্ছেন। সবার জন্য প্রস্তুতির কিছু পরামর্শ দেয়া হলো-
ইংরেজি
# ইংরেজিটা সব পরীক্ষার জন্যেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ইংরেজির নম্বর ক্যাডার আর নন-ক্যাডারের পার্থক্যটা গড়ে দেবে। ইংরেজিতে নম্বর তোলার মূল জায়গা হলো পার্ট-এ। অধিকাংশ পরীক্ষার্থী প্যাসেজটা ভালো করে না বুঝেই উত্তর দেয়া শুরু করে।

ফাইজুল করীম আদর (৪০তম বিসিএস (পুলিশ)-সুপারিশপ্রাপ্ত, মেধাক্রম- ০১) বলেন, ‘প্যাসেজের ঝশরস ঞযৎড়ঁময নলেজ নিয়ে উত্তর দিতে গেলে উত্তর হবে গড়পড়তা এবং বারবার পুরো প্যাসেজ পড়ে উত্তর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে যে সময়ের অপচয় হবে তার প্রভাব পড়বে পার্ট-বি তে। তাই প্রশ্ন পাওয়ার পর প্যাসেজ ভালো করে পড়ে নিতে হবে যেন ১০টি প্রশ্নের টু দ্যা পয়েন্ট উত্তর করা যায়।’
# পার্ট-এ তে ভালো করার জন্য ভোকাবুলারির উপর পারদর্শী হতে হবে। ভোকাবুলারির জন্য অনেকে ওয়ার্ড মুখস্থ করেন। তা না করে নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন। জাতীয় দৈনিকের নিউজগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখবেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা কমন শব্দগুলোই পত্রিকায় সমার্থক শব্দ দিয়ে লেখা হয়। পত্রিকা থেকেই তাই ভোকাবুলারি শিখুন। আর প্রতিটি ওয়ার্ড শিখার সময় একটা নোট খাতা বানিয়ে সেখানে লিখে রাখুন। ওয়ার্ড সরাসরি মুখস্থ না করে তা দিয়ে নিজেই বাক্য তৈরি করুন। তাহলে শেখাটা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
# ফাইজুল করীম আদর (৪০তম বিসিএস পুলিশ- সুপারিশপ্রাপ্ত, মেধাক্রম- ০১) বলেন, ‘প্রথমেই ৩০ নম্বরের জন্য ১০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রশ্নগুলোর উত্তর করার সময় এৎধসসধঃরপধষ বৎৎড়ৎ করা যাবে না। ঞবহংব, ংবহঃবহপব ংঃৎঁপঃঁৎব এর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।’
# পার্ট-বি তে ৫০ নম্বরের রচনার জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। মনে রাখবেন এখানে নম্বর কম হলে তা আর কিন্তু অন্য সাবজেক্ট দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারবেন না।
# এই কটাদিন নিয়মিত অনুবাদ চর্চা করলে দুর্বলতা কমে যাবে। এক্ষেত্রে বই থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো অনুবাদ চর্চার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট হলেও বরাদ্দ রাখা।
বাংলা
# বাংলা দুই পার্ট মিলিয়ে বেশি পড়ার সুযোগ নাই। মূল ফোকাস দিতে হবে ব্যাকরণের ৩০, বাংলা সাহিত্যের ৩০, গ্রন্থ সমালোচনার ১৫ নম্বরে। বাকি টপিকগুলো শুধু একটু ঝালিয়ে নিলেই হবে।
# বাংলা ২য় পত্রে সময় বণ্টন করা একটু কঠিন হয়ে যায়। আগেরগুলো ভালো করে লিখতে গেলে শেষের দিকে প্রবন্ধ রচনায় সময় কমে যায়, তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
# অনুবাদ, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন/চিঠি ও কাল্পনিক সংলাপ একটু গুছিয়ে লিখলেই ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে শুধু নিয়মগুলো যে কোনো বই থেকে দেখে নিতে হবে।
# প্রচুর লেখার অভ্যাস করবেন। পড়া শেষে সময় ধরে লিখবেন। এতে তিনটি উপকার হবে- পড়া দ্রুত মুখস্থ হবে, সঠিক সময়ে লেখা শেষ করার অভ্যাস হবে এবং লেখার গতি বাড়বে। ফলে সঠিক সময়ের মধ্যে মনের মতো উত্তর দিতে পারবেন। যাদের সমস্যা আছে তারা এই সময়ে অভ্যাসটা বাড়িয়ে নেবেন।
চলবে ....

×