ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

ট্রাম্পের ১০ দিনের আল্টিমেটামকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইউক্রেনের কারাগারে বোমা হামলা পুতিনের

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ২৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:৪০, ২৯ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্পের ১০ দিনের আল্টিমেটামকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইউক্রেনের কারাগারে বোমা হামলা পুতিনের

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার গ্লাইড বোমা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের একটি কারাগার ও একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে রাতারাতি হামলা চালিয়েছে। নাগরিক এলাকায় একের পর এক হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে বলে মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের মাধ্যমে শাস্তির হুমকি দিয়েছেন, যদি তারা হামলা বন্ধ না করে।

ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে চারটি শক্তিশালী রুশ গ্লাইড বোমা একটি কারাগারে আঘাত হানে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। এতে অন্তত ১৭ জন বন্দি নিহত হয় এবং আরও ৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ইউক্রেনের দনিপ্রো অঞ্চলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে একটি তিনতলা ভবনের একাংশ ধ্বংস হয়ে যায় এবং পাশের একটি মাতৃত্বকালীন হাসপাতাল ও একটি শহর হাসপাতালের ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কর্মকর্তারা জানান, অন্তত চারজন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন ২৩ বছর বয়সী গর্ভবতী নারী ছিলেন। আহত হয়েছেন আরও আটজন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, দেশজুড়ে ৭৩টি শহর, জনপদ ও গ্রামে রাশিয়ার হামলায় মোট ২২ জন নিহত হয়েছে। তিনি টেলিগ্রামে বলেন, “এগুলো ছিল সচেতন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা — দুর্ঘটনাবশত নয়।”

ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, তিন বছরের যুদ্ধে রক্তপাত বন্ধে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ১০ থেকে ১২ দিনের সময় দিচ্ছেন, আগের ৫০ দিনের সময়সীমা থেকে এই সময়সীমা এগিয়ে আনা হয়েছে। এর মানে দাঁড়ায়, তিনি চান ৭ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে অগ্রগতি হোক।

ট্রাম্প বারবার পুতিনকে সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি যুদ্ধ শেষ করার কথা বললেও ইউক্রেনীয় নাগরিকদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ক্রেমলিন এখনো তার কৌশলে পরিবর্তন আনেনি।

“আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর হতাশ,” ট্রাম্প স্কটল্যান্ড সফরে এ কথা বলেন।

ট্রাম্পের এই সময়সীমার ঘোষণাকে স্বাগত জানান জেলেনস্কি। তিনি টেলিগ্রামে লিখেন, “সবারই শান্তি দরকার — ইউক্রেন, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের দায়িত্বশীল নেতাদের। সবাই চায়, শুধু রাশিয়া ছাড়া।”

আবির

আরো পড়ুন  

×