
পিরামিড
মিশরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদরা পিরামিডের মাটির নিচে দুটি রহস্যজনক কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন। সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানানো হয়, রাডার ও বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা মাটির ২ মিটার নিচে একটি এল-আকৃতির গঠন এবং তার নিচে ৫ থেকে ১০ মিটার গভীরে আরও একটি বড় গঠন শনাক্ত করেছেন।
গিজার ৪ হাজার ৫০০ বছর পুরনো পশ্চিম কবরস্থানের একটি ফাঁকা বালুময় স্থানে এই আবিষ্কারটি হয়। এলাকাটি এতদিন খননের বাইরে ছিল, কারণ মাটির ওপরে কোনো কাঠামোর অস্তিত্ব দেখা যায়নি। অথচ পাশেই রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন মাস্তাবা সমাধি।
গবেষক দলটি ‘গ্রাউন্ড-পেনিট্রেটিং রাডার (জিপিআর)’ ও ‘ইলেকট্রিক্যাল রেজিস্টিভিটি টোমোগ্রাফি (ইআরটি)’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাটির নিচের এই কাঠামোগুলোর চিত্র তৈরি করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূমির নিচে চাপা পড়ে থাকা বস্তু চিহ্নিত করা সম্ভব।
তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজিপ্টোলজিস্ট ড. রোল্যান্ড এনমার্চ বিবিসি সায়েন্স ফোকাস-কে বলেন, ‘এলাকা খনন না করা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা কঠিন। তবে এটি সমাধি হলে আমি অবাক হব না।’
গভীর কাঠামোটি প্রাকৃতিক কোনো গঠন নাকি মানুষের তৈরি সে বিষয়েও নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি হয়তো বালু-নুড়ি মিশ্রিত মাটি, অথবা একটি ফাঁপা স্থানে তৈরি কাঠামোও হতে পারে।
ড. এনমার্চ বলেন, ‘আমি খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি তাদের খননের ফল জানার জন্য। তখনই বোঝা যাবে, প্রযুক্তির মাধ্যমে পাওয়া তথ্য কতটা বাস্তব।’
পিরামিডের পাদদেশে লুকিয়ে থাকা এই সম্ভাব্য সমাধি নিয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। নতুন করে খনন শুরু হলে মিশরের ইতিহাসে যুক্ত হতে পারে আরও এক চমকপ্রদ অধ্যায়।
খবর বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
তাসমিম