ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

রৌমারীতে ট্রিপল মার্ডার, বিক্ষোভ-মিছিল ও থানা ঘেরাও

পারভীন আক্তার, রৌমারী (কুড়িগ্রাম)

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২৬ জুলাই ২০২৫

রৌমারীতে ট্রিপল মার্ডার, বিক্ষোভ-মিছিল ও থানা ঘেরাও

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ-মিছিল ও থানা ঘেরাও করেছেন নিহতদের স্বজনসহ বিক্ষুদ্ধ জনতা। শনিবার (২৬জুলাই) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর ফুলবাড়ি এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়। পরে রৌমারী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন মিছিলে আসা লোকজন। "আমার ভাই মরলো কেনো, প্রশাসন জবাব চাই", "আমার ভাই কবরে, খুনি কেনো বাহিরে' এমন নানা স্লোগান দেন।"  

বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত বুলু মিয়ার মেয়ে শাপলা বেগম, বোন শরিফা খাতুন, নিহত ফুলবাবুর স্ত্রী ফুলুরানী, নিহতদের স্বজন ও মামলার বাদী শাহাজামাল, স্থানীয় ওয়াজেদ আলী, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডার’ ঘটনার তিন দিন আগে (১৯ জুলাই) শনিবার রাতে গরু দিয়ে ধানের চারা খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী শাহাজামালের বাড়িতে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষ রব্বানীর ছেলে আপেল মিয়া, রাজু মিয়াসহ ১০-১৫জনের একটি দল। ওই দিনের হামলায় আহত হন শাহাজামালের স্ত্রী নুরজাহান বেগমসহ ৫জন। পরে তাঁদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ওই দিনই রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার নুরজাহান বেগম।

ঘটনার সত্যতা থাকা সত্বেও মামলা রেকর্ড করা হয়নি। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিপক্ষের লোকজন বেপরোয়া হয়ে পরিকল্পিতভাবে পূণরায় হামলা চালিয়ে এ নাড়কীয় এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাঁরা আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। 

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪জুলাই) দুপুরে জমি নিয়ে বিরোধে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভুন্দুরচর গ্রামের মৃত গোলাম শহিদের ছেলে শাহজামাল গ্রুপের সাথে প্রতিপক্ষ একই এলাকার রব্বানী গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় শাহাজামালের দুই ভাই ফুলবাবু (৪৩), বুলু মিয়া (৫২) ও ভাতিজা নুরুল আমিন (২৭) নিহত হন। আহত হন উভয় পক্ষের ৬জন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় নিহতদের স্বজন শাহাজামাল মিয়া বাদী হয়ে ৩৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত রাজু মিয়াসহ, আপেল মিয়া, সিবেনী বেগম, কিনেজা খাতুন ও নুর মোহাম্মদ নামের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

রিফাত

×