
নিম্নচাপের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস এবং অতি জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে। আড়াই থেকে তিন ফুট প্লাবিত হলেও বন্যপ্রাণীর তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে বনবিভাগ জানিয়েছে।কোনো ক্ষতি হয়নি স্থাপনার।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে গত ৩ দিনের লাগাতার বৃষ্টি ও আমাবশ্যার প্রভাবে অতিজোয়রে তলিয়েছে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তবে ভাটায় পানি নেমে যাওয়ায় অতিরিক্ত ক্ষতির সম্ভবনা নেই বলে কৃষি ও মৎস্য বিভাগ মনে করছে।পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, শনিবার দুপুরের জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বেড়েছে। আড়াই ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে করমজল, জোংড়া, মরাপশুর, হাড়বাড়ীয়, ঘাগরামারী ও লাউডোব এলাকা। এছাড়া তিন ফুটের বেশী উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে হিরণপয়েন্ট, কটকা ও কচিখালী বনাঞ্চল। পুরো বনের ভেতরই আড়াই থেকে তিন ফুট উচ্চতার পানিতে তলিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, পানি বাড়লেও বন ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এখনও পর্যন্ত করমজলে কুমির, কচ্ছপ, হরিণ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণী নিরাপদে রয়েছে। কারণ পুরো বন জুড়ে ৪০টি টাইগার টিলা (উঁচু টিলা) রয়েছে। বনের ভেতরে পানি বাড়লে বাঘ, হরিণ ও শুকরসহ অন্যান্য প্রাণী উঁচু টিলায় আশ্রয় নিয়ে থাকে। আর দুই আড়াই ঘণ্টা পর ভাটায় আবার এ পানি নেমে যায়। ফলে বন্যপ্রাণীর ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই। এছাড়া ক্ষতি হবে না বনের অভ্যন্তরে থাকা ৮৮টি মিষ্টি পানির পুকুরেরও। কারণ পুকুরগুলোর পাড় অনেক উঁচু, তাই লবণ পানি ঢুকে মিষ্টি পানির আধারগুলোর ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও গোনের কারণে পশুর, বলেশ্বর, ভোলা, চিত্রা, মোংলা-সহ জেলার সকল নদী-খালে পানি স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের সময় দুই ফুটের অধিক উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। ভাটায় চাপ কমে যাচ্ছে।’
রাজু