
ইরানে আদালত ভবনে হামলার পর হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করছে
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি আদালত ভবনে গ্রেনেড হামলায় ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিন হামলাকারী নিহত হয়েছে। এদিকে পাকিস্তানভিত্তিক (ইরানেও সক্রিয়) বালুচ সশস্ত্র গোষ্ঠী জইশ আল আদল তাদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের সকল বেসামরিক নাগরিককে তাদের নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর আলজাজিরার।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, শনিবার সিস্তান বেলুচিস্তানের রাজধানী জাহেদানে বন্দুকধারীদের ছোড়া গ্রেনেড হামলায় নিহতদের মধ্যে এক মা ও শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা। ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আঞ্চলিক সদর দপ্তরের বরাতে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলার পর পরই তৎপর হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ৩ হামলাকারী নিহত হয়েছে। সিস্তান-বেলুচিস্তানের ডেপুটি পুলিশ কমান্ডার আলিরেজা দালিরি জানিয়েছেন, হামলাকারীরা দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে আদালত ভবনে প্রবেশ করেছিল।
হতাহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক ছাড়াও বিচার বিভাগের এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েক কর্মীও রয়েছেন। রাজধানী তেহরানের প্রায় ১২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত সিস্তান-বেলুচিস্তান ইরানের সুন্নি মুসলিম বালুচ সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল, যারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে তারা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এই প্রদেশে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী আইআরজিসিও অন্তর্ভুক্ত এবং বালুচ সংখ্যালঘু ও সুন্নি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ ঘটে।
এদিকে শনিবার ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় একজন নিহত ও অন্য আরেকজন আহত হয়েছেন। পশ্চিম আজারবাইজান ঘাঁটির আইআরজিসি জনসংযোগ প্রধান কর্নেল শাকের জানান, সারদাশতের আগলান গ্রামের কাছে আইআরজিসির ঘাঁটিতে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা করে।
প্যানেল হু