
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানকে যৌথ হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে ইসরায়েল ও ইউক্রেন একত্রে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানকে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, যা সমর্থন করেছেন সম্প্রতি কিয়েভ সফররত ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।
এই সহযোগিতা শুরু হয়েছে এমন সময়ে যখন ইউক্রেন রাশিয়ার হাতে ব্যবহৃত ইরানী ড্রোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, এবং ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছে—যদিও তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে ইরানে সরকার পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে।
ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা বলেন, “আমাদের দুই দেশের সামনে অভিন্ন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আজ আমরা ইরান সংক্রান্ত হুমকি নিয়ে একটি পৃথক সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সাআর ইউক্রেনকে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের বিরোধিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “ইরানের অস্ত্র ও প্রযুক্তি পাওয়ার পথ বন্ধ করতে পারলে ইউক্রেন এবং ইউরোপের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।”
যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আগে ইউক্রেন ইসরায়েলের নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেছিল, এখন দুই দেশ সেই বিরোধ ভুলে গিয়ে ইরানবিরোধী একজোট হচ্ছে। কিয়েভ বারবার ইরানের বিরুদ্ধে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তুলে আসছে।
গত মাসেই ইসরায়েল হঠাৎ করে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যা ইউক্রেন খোলাখুলিভাবেই সমর্থন করেছে। নতুন এই সংলাপের মাধ্যমে দুই দেশ তাদের অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সংকেত দিচ্ছে।
সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া
নোভা