ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রতিবেশী এই দেশের সাথে ১৫ বিলিয়নের বাণিজ্য চুক্তি করলো সৌদি আরব

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২৩ জুলাই ২০২৫

প্রতিবেশী এই দেশের সাথে ১৫ বিলিয়নের বাণিজ্য চুক্তি করলো সৌদি আরব

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল-ফালেহের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল সিরিয়ায় পৌঁছেছে। তারা “সৌদি-সিরিয়া ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম”-এ অংশ নিচ্ছে, যেখানে প্রায় ১৫ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল (৪ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিরিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা জানিয়েছে, ১২০ জনেরও বেশি সৌদি বিনিয়োগকারী সিরিয়ায় বিনিয়োগের সুযোগ খতিয়ে দেখছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনীতি পুনর্গঠনে এই উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তিগুলো টেকসই উন্নয়ন ও দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালে ১২ বছর বন্ধ থাকার পর সৌদি আরব দামেস্কে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করে। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। চলমান ফোরামে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও যৌথ প্রকল্প শুরুর ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে সৌদি আরব ও কাতার যৌথভাবে সিরিয়ার বিশ্বব্যাংক ঋণের ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধে সম্মত হয়েছে। এ সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে সিরিয়া তাদের বিনিয়োগ আইন হালনাগাদ করেছে, যাতে বিদেশি মূলধন আকৃষ্ট করা যায়।

এই সহযোগিতার অংশ হিসেবে আদরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটিতে ফাইহা হোয়াইট সিমেন্ট ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করেছে সৌদি ও সিরিয়া যৌথভাবে। ২ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে সরাসরি ১৩০ জন এবং পরোক্ষভাবে আরও এক হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য গত এক বছরে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সৌদি আরব থেকে সিরিয়ায় রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১.৯ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল, যা গত বছরের তুলনায় ১৫৩ শতাংশ বেশি। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল প্লাস্টিক, উদ্ভিজ্জ পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাবার। অপরদিকে, সিরিয়া থেকে সৌদি আরবে আমদানি ১৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮.৫ মিলিয়ন রিয়াল, যার বেশিরভাগ ছিল কৃষিপণ্য ও খাদ্যপণ্য।

২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে সৌদি আরব দেশটির অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার ছিল। তখন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১.৩ বিলিয়ন ডলার। চলমান সহযোগিতা ও উচ্চপর্যায়ের সফর এই পুরনো সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা দুই দেশের আঞ্চলিক স্বার্থকেও প্রতিফলিত করছে।

আবির

×