ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

চীনে ‘রেড আঙ্কেল’-এর কাণ্ড! নারীর ছদ্মবেশে ১ হাজারের বেশি পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক

প্রকাশিত: ২১:১৭, ৮ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:১৯, ৮ জুলাই ২০২৫

চীনে ‘রেড আঙ্কেল’-এর কাণ্ড! নারীর ছদ্মবেশে ১ হাজারের বেশি পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর নানজিংয়ে এক ব্যক্তি নারীর ছদ্মবেশে ১ হাজার ৬৯১ জন পুরুষের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেছেন। শুধু তাই নয়, গোপন মুহূর্তগুলো ভিডিও করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ‘রেড আঙ্কেল’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তি এখন চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যতম আলোচিত নাম।

মঙ্গলবার চীনের জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম উইবোতে ‘#রেডআঙ্কেল’ হ্যাশট্যাগটি শীর্ষ ট্রেন্ডে উঠে আসে। বিষয়টি ঘিরে ব্যবহারকারীরা বিস্ময়, ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হ্যাশট্যাগটি এরই মধ্যে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়েছে।

অনলাইন পোস্টগুলোতে বলা হয়, ওই ব্যক্তি তার বাসায় বিপরীত লিঙ্গের (হেটারোসেক্সুয়াল) ১ হাজারের বেশি পুরুষকে প্রলুব্ধ করে যৌনসম্পর্কে জড়ান। এরপর গোপনে সেই মুহূর্তগুলো ভিডিও করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওগুলো ফাঁস হওয়ার পর নানজিংয়ে আতঙ্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

নানজিং জেলা পুলিশ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রবিবার আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তার নামের শেষাংশ ‘জিয়াও’। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বয়স ৬০ বছর বলা হলেও, পুলিশ দাবি করেছে তার বয়স ৩৮ বছর।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযুক্তের সঙ্গে ১ হাজারের বেশি পুরুষের সম্পর্কের খবরটি “অতিরঞ্জিত”, যদিও প্রকৃত সংখ্যা জানানো হয়নি।

এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ১০০ জন পুরুষের একটি কোলাজ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যাদের ‘রেড আঙ্কেল’-এর সঙ্গে দেখা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অনেক নারী ব্যবহারকারী তাদের প্রেমিক বা স্বামীদের ছবি খুঁজতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ মজা করে লিখেছেন, “দেখে নিন, আপনার মানুষটি ছবিতে আছে কি না!”

ঘটনাটি জনস্বাস্থ্য নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেকেই যৌনবাহিত রোগ (এসটিডি) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জিমু নিউজকে বলেছেন, “যদি কেউ ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার কারণে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তারা পরীক্ষার জন্য আমাদের কাছে আসতে পারেন।”

চীনে সমলিঙ্গের সম্পর্ক নিষিদ্ধ নয়। তবে যৌন কর্মকাণ্ডের ছবি বা ভিডিও অনলাইনে ছড়ানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া যৌন সম্পর্কের ভিডিও ধারণ ও প্রচারকে “গোপনীয়তা লঙ্ঘন” হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এতে ফৌজদারি মামলা হতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। মামলার অগ্রগতি নিয়ে দেশজুড়ে মানুষের কৌতূহল তুঙ্গে।

মিমিয়া

×