ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

"ভূত তাড়ানোর" নামে নির্যাতন করে মাকে হত্যা করল ছেলে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৮, ৮ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

"ভূতে ধরেছে" এমন অন্ধবিশ্বাসে কর্নাটকের শিবমোগ্গা জেলায় এক মা তাঁর ছেলের হাতে নৃশংসভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী গীতাম্মাকে তার ছেলে সঞ্জয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান “পিশাচ তাড়ানোর” উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেই কুসংস্কারমূলক রীতির পরিণতিতে মায়ের জীবনই চলে গেল।

সোমবার রাত ৯:৩০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চলে নির্যাতনের ভয়াবহ দৃশ্য। এই বর্বরতা পুরোপুরি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গীতাম্মা অর্ধচেতন অবস্থায় মেঝেতে বসে আছেন, চুল খোলা, মুখ নিস্তেজ। ওঝা আশা তার মাথায় লেবু ঘুরিয়ে সেটি কেটে মাথায় আঘাত করতে থাকেন।

এরপর সেই লেবু দুই ভাগ করে আবারও গীতাম্মার মাথায় ঘষে ঘষে আঘাত করতে থাকেন। পরে আশার স্বামী সন্তোষও এতে যুক্ত হন। আশার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শুরু হয় একের পর এক নির্মম প্রহার। গীতাম্মা বারবার নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

এই ঘটনার পর পুলিশ সঞ্জয়, আশা ও সন্তোষ এই তিনজনের বিরুদ্ধেই হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই বিহারের পূর্ণিয়ায় একই ধরনের ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। 'ডাইনি' অপবাদে এক নারীসহ পাঁচজনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

একটি ৫০ জনের সশস্ত্র দল বাঁশের লাঠি নিয়ে সীতা দেবীর বাড়িতে হানা দেয়। তার ছেলেকে ছাড়া বাকি সবাইকে বেধড়ক মারধর করে আগুনে ঝলসে মেরে ফেলা হয়। পরে তাদের মরদেহ জলজ গাছের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়।

মুমু ২

×