
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তরের বিষয়ে তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, “যদি কেউ থাকতে চায়, তারা থাকতে পারবে। আর কেউ যদি চলে যেতে চায়, তাহলে তাদের সেই সুযোগ থাকা উচিত। গাজা যেন একটি কারাগার না হয়, এটি হওয়া উচিত মুক্ত একটি স্থান।”
এই মন্তব্যে ইসরায়েলি নেতার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে—গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের এক অংশকে দেশান্তরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমরা এখন এমন কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি, যারা আগে থেকেই বলে এসেছে তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ চায়। আমরা বিশ্বাস করি, কিছু দেশ এই পরিকল্পনায় এগিয়ে আসবে।”
তবে কোন কোন দেশ এই আলোচনায় রয়েছে তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
এই প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যও উঠে এসেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউস সফরের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমরা গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করব, গাজা আমাদের হবে। ফিলিস্তিনিরা অন্য দেশে চলে যাবে।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উৎখাতের একটি আশঙ্কা তৈরি হয়, যা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরিসরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “ইসরায়েলকে ঘিরে থাকা অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সমন্বয় হচ্ছে। আশা করি, ভালো কিছু ঘটবে।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপকে “গোপন জাতিগত নিধনের পরিকল্পনা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তারা বলছে, “যদি গাজার জনগণকে চাপের মুখে অন্য দেশে পাঠানো হয়, তাহলে এটি হবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও মানবিক বিপর্যয়।”
মুমু ২