ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইরানে হামলা মুসলিম দেশের আকাশ থেকে!

প্রকাশিত: ২০:১৫, ১৩ জুন ২০২৫

ইরানে হামলা মুসলিম দেশের আকাশ থেকে!

ছবি:সংগৃহীত

সম্প্রতি ইরানের ওপর চালানো ইসরায়েলের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এখন, এই অস্ত্র ও ড্রোন কীভাবে ইরান পর্যন্ত পৌঁছাল? কারণ, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি কোনো সীমান্ত নেই এবং দুই দেশের মধ্যকার দূরত্ব ১,০০০ কিলোমিটারের বেশি।

 

 

তাই ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েল এই হামলা চালাতে তৃতীয় কোনো মুসলিম দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে। সর্বাধিক সম্ভাব্য রুট হতে পারে জর্ডান, ইরাক বা সিরিয়ার আকাশসীমা।

শুক্রবারের হামলার পরই বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, ইসরায়েল জর্ডানের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা চালিয়েছে। যদিও দ্রুতই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জর্ডান স্পষ্ট করে বলেছে, “আমরা কোনো পক্ষের যুদ্ধক্ষেত্র হবো না।”
তবে জর্ডানের এই বক্তব্য সন্দেহ দূর করতে পারেনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিও কড়া ভাষায় বলেছেন,

“শুধু ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, যারা নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিয়েছে, তাদের প্রতিও প্রতিশোধ আসবে।”

 

লেবানন ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায়, সেই পথ ব্যবহার করলে ইসরায়েলকেই পাল্টা হামলার মুখে পড়তে হতো।
অন্যদিকে সিরিয়া, যদিও ইরানের মিত্র হিসেবে পরিচিত, তবু সম্প্রতি পশ্চিমা সমর্থিত সরকার সেখানে ক্ষমতায় এসেছে। এই বদলের কারণে ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো সিরিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করেও হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।

### ইরাক: মিত্রতা থাকলেও বাস্তবতা জটিল

ইরাক ঐতিহাসিকভাবে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কিন্তু সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে অনেক বেশি। এর মধ্যে কিছু মাস আগে ইরানের ঘনিষ্ঠ ঘাঁটি 'আল-আসাদ' সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করাও একদিক থেকে যুক্তিযুক্ত মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যেসব দেশের ভূমিকা এই হামলার পথে ছিল, তাদের নিয়েই এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও উদ্বেগ।

 

ইরান থেকে ইতোমধ্যে কঠোর বার্তা এসেছে, শুধু হামলাকারী নয়, পথ তৈরি করে দেওয়া দেশগুলোকেও জবাব দিতে প্রস্তুত তেহরান। ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা এখন চরমে, আর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কোথা থেকে আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ছামিয়া

×