ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রীর বর্ণনায় হৃদয়বিদারক মুহূর্ত

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ১৩ জুন ২০২৫

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রীর বর্ণনায় হৃদয়বিদারক মুহূর্ত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৪১ জনের প্রাণহানি ঘটলেও, এক অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরেছেন একজন মাত্র যাত্রী—বিশ্বাস কুমার রমেশ। বর্তমানে আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই সংবাদমাধ্যমে ভাগ করে নিলেন সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা, যা বদলে দিয়েছে তাঁর জীবন।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিশ্বাস বলেন, "টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ৫-৭ সেকেন্ডের জন্য মনে হয়েছিল, প্লেনটা যেন কোথাও আটকে গেছে। তারপর ফ্লাইটের ভিতর সবুজ আর সাদা আলো জ্বলে উঠেছিল। হঠাৎ মনে হল, প্লেনটা জোরে উঠতে চাইছে—যেমন গাড়ি আটকে গেলে আমরা এক্সিলারেটর চাপি, কিছুটা তেমন। ঠিক এরপরেই এক বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে।"

বিশ্বাস জানান, তিনি বিমানের যে পাশটায় বসেছিলেন, সেটি হস্টেলের নিচের তলায় গিয়ে পড়ে। সেই পাশটি জমির উপর পড়ে যাওয়ায় কিছুটা খোলা জায়গা তৈরি হয়, সেখান দিয়েই তিনি বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
"যদি উল্টো পাশে বসতাম, তাহলে বাঁচার কোনো সুযোগ ছিল না। কারণ ওই দিকটা হস্টেলের ছাদের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল। আগুনে আমার বাঁ হাত পুড়ে গেছে,"—বললেন তিনি।

মৃত্যুর এত কাছ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা বিশ্বাসের এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমার চোখের সামনেই সবটা ঘটেছে। জানি না কীভাবে বেঁচে ফিরলাম। কয়েক মুহূর্তের জন্য তো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ভেবেছিলাম আমিও বুঝি আর বাঁচব না। কিন্তু যখন চোখ খুলে দেখলাম—আমি এখনও বেঁচে, তখন নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।"

তিনি জানান, চারপাশে তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না। সিটবেল্ট খুলে চেষ্টা করেছিলেন বেরিয়ে আসতে—তাতেই প্রাণে বেঁচে যান।

এদিন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই বিশ্বাসের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে বিশ্বাস বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি এসে জানতে চেয়েছিলেন কীভাবে ঘটনাটা ঘটল। আমি সব খুলে বলেছি। উনি আমার শারীরিক অবস্থার খবরও নেন।"

 

 

শিহাব

×