
বৃহস্পতিবার দুপুরে আমেদাবাদের সারদার ভালাভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১.৫ কিমি দূরে উড্ডয়নের পরেই বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171, একটি বোয়িং ৭৮৭–৮ ড্রিম্লাইনার। বিমানে ২৪১ জন যাত্রী ও ক্রু ছিল, যারা সবাই নিহত হয়েছেন। এছাড়াও বিধ্বস্ত বিমানের সংস্পর্শে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও প্রাণহানি হয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধার ও তদন্ত কাজ চলমান।
প্রাথমিক তথ্য ও চ্যালেঞ্জিং অবস্থা
বিমানটি ১৩:৩৯ (স্থানীয় সময়) আমেদাবাদ থেকে গেটউইক উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। হোম অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানা যায়, বিমানটি প্রায় ১০০ টন জ্বালানী নিয়ে ওজনময় অবস্থায় উঠেছিল। টেকঅফের পর মাত্র ৩০ সেকেন্ড ইশতেহার করে, মায়ডে কল দেয় এবং ৬২৫ ফুট (১৯০ মিটার) পর্যন্ত ওঠার পর দ্রুত নিচের দিকে নামতে থাকে। এরপরই বিধ্বস্ত হয়।
দুৎপর্যপূর্ণ ইঞ্জিন সমস্যা
কিছু বিমান বিশেষজ্ঞ সন্দেহ করছেন দু’টি ইঞ্জিন একযোগে বিকল হওয়ায় বিমান জ্বালানী সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তবে অন্যেরা বলেছেন, এরকম ঘটনা খুবই বিরল এবং এখনও কোনো কণ্ঠ বা ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
পাখির আক্রমণ ও গরম আবহাওয়া
আমেদাবাদ বিমানবন্দর পাখির উপস্থিতির জন্য সুপরিচিত; গত পাঁচ বছরে এখানে ৪৬২টি পাখিঘাত ঘটেছে। উড্ডয়নের সময় পাখি ইঞ্জিনে ঢুকে যাওয়ার ঘটনাও এই দুর্ঘটনার একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল, যা এমন পরিস্থিতিতে বিমানে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
ফ্ল্যাপ কনফিগারেশন—মানবিক ভুলের সম্ভাবনা
কয়েকজন পাইলট ও বিশ্লেষক উদ্বেগ করছেন যে টেকঅফের সময় ফ্ল্যাপ যথাযথভাবে অ্যাডজাস্ট না থাকায় বিমানের উপযুক্ত লিফট ও গতি গঠনের বিকল্প বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তবে ৭৮৭ ড্রিম্লাইনারে ‘টেকঅফ কনফিগারেশন ওয়ার্নিং সিস্টেম’ থাকে, যা এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। আধিকাংশ বিমানচালক এ ধরনের ভুল পরিচালনার প্রতি অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি টেকঅফে একটি বড় মানসিক ও নিরাপত্তাগত চ্যালেঞ্জ।
আফ터ম্যাথ ও তদন্তের অগ্রগতি
নিরাপত্তা দলের সদস্যরা এখন কালবক্স উদ্ধার ও ডাটা বিশ্লেষণে যুক্ত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকেও বিশেষজ্ঞ দল আসছে; GE Aerospace এবং Boeing–ও তদন্তকার্যে সহায়তা করছে। ইঞ্জিন, কনফিগারেশন, পাখিঘাত—সব সম্ভাব্য কারণ এখন তদন্তের আওতায়।
Jahan