
ইসরাইলি হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়াদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে
ফের ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দখল করার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গাজা নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। ওই সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে ভালো হবে। এরপর সেখানে ফ্রিডম জোন তৈরি করা হবে। এতে সেখানে সব মানুষ নিরাপদে বাস করতে পারবেন।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। হামাস শাসিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার বরাতে এমনটি জানিয়েছে বিবিসি। বেশিরভাগ নিহত হয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে। তবে বেইত লাহিয়া ও দেইর আল বালাহ থেকেও নিহতের খবর পাওয়া গেছে। খবর আলজাজিরার।
ট্রাম্প বলেন, ‘গাজার জন্য আমার পরিকল্পনা আছে। যেগুলো আমি মনে করি ভালো। চলুন গাজাকে একটি ফ্রিডম জোন হিসেবে তৈরি করি। এখানে যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত হতে দিন। আমি খুবই গর্বিত হব যদি গাজার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র নেয় এবং এটিকে একটি ফ্রিডম জোনে পরিণত করে। ভালো কিছু হতে দিন। মানুষকে এমন বাড়িতে রাখুন যেখানে তারা নিরাপদে থাকবে।
গাজার সমস্যা কখনো সমাধান করা হয়নি।’ তবে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে আগে হামাসকে মোকাবিলা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলে চালানো হামাসের অপারেশন আল আকসা ফ্লাড নিয়েও মন্তব্য করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, এটি মানব ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ঘটনা ছিল। তিনি বলেন, হামাসকে মোকাবিলা করতে হবে।
এদিকে বিতর্কিত এক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মানবিক সহায়তা কেন্দ্র নির্মাণে গাজার বিভিন্ন স্থান প্রস্তুত করছে ইসরাইল। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে এমনটি দেখা গেছে। ইসরাইল সরকার গত মার্চে গাজায় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ স্থগিত করে দিয়েছিল। ইসরাইলি মন্ত্রীদের দাবি, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। জাতিসংঘ, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় ইসরাইলি অবরোধের কারণে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গত সোমবার বিশ্ব সংস্থাটির প্রকাশিত এক মূল্যায়নে বলা হয়, গাজার প্রায় ২১ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের গুরুতর ঝুঁকিতে আছেন। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে নিশ্চিত করেছে, গাজার বিভিন্ন স্থান থেকে যাতে ত্রাণ বিতরণ করা যায়।
সেই লক্ষ্যে তারা এক নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এটি পরিচালনা করবে বেসরকারি কোম্পানিগুলো। সুরক্ষা দেবে নিরাপত্তা ঠিকাদার ও ইসরাইলি বাহিনীগুলো। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি ভেরিফাই।