ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৯ মে ২০২৪

ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড

এটি গোটা ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। 

ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) দুপুরে দেশটির
রাজধানী দিল্লিতে সর্বোচ্চ এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি গোটা ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। 

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, চরম তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তর ও মধ্য ভারতের বড় অংশ। গত মঙ্গলবারই এসব এলাকার অনেক জায়গায় তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছিল। কিন্তু আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে দিল্লির মুঙ্গেশপুরে ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার অতীত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

২০১৬ সালে রাজস্থানের ফলোদিতে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। গত আট বছর ধরে ভারতের ইতিহাসে এটিই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তার আগে, ১৯৫৬ সালে রাজস্থানের আলওয়ারে রেকর্ড হয়েছিল ভারতের সর্বোচ্চ ৫০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।

আজ দুপুরে গনগনে আঁচে পুড়লেও বিকালে বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে দিল্লিতে। বিকেলে রাজধানীতে বেশ কিছু ক্ষণ মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমেছে।

গরমে হাঁসফাঁস করছে দিল্লি। এপ্রিল থেকেই তাপপ্রবাহ চলেছে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। গত কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে দিল্লি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আবহাওয়া অফিস সর্তকবার্তা জারি করে জানিয়েছিল, এই কয়েক দিন রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় গরম বৃদ্ধি পাবে। বুধবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪৬ ডিগ্রির কাছাকাছি। তবে বেলা বাড়তে দেখা গেল তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে।

শুধু দিল্লি নয়, উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেই তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাতের বিস্তীর্ণ অংশে।

দিল্লির তীব্র গরমের হাত থেকে কচিকাঁচাদের রেহাই দিতে সব স্কুলকে ৩০ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরমে বাতানুকূল যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতেও টান পড়েছে দিল্লিতে। সেখানে বিদ্যুতের চাহিদাও তুঙ্গে। ফলে লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে মূলত বয়স্ক এবং শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দুপুরে যথাসম্ভব বাড়িতে থাকা, বেশি করে ওআরএস জাতীয় পানীয় খাওয়া, কাটা ফল বা অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার না খাওয়ার উপরে জোর দিচ্ছেন তারা।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমে রাজধানীতে পানির সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। ডিজেবি আজ ঘোষণা করেছে, পানি অপচয় করলেই দু’হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে দিল্লিবাসীদের। ডিজেবির ঘোষণা করা এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে পানি উপচে পড়লে, ব্যক্তিগত গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহন ধুলে এবং নির্মাণ ও বাণিজ্যিক কারণে পানীয় পানি ব্যবহার করলেই দিতে হবে জরিমানা।

 

এম হাসান

সম্পর্কিত বিষয়:

×