মাসকাট সিটি
বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে ওমান। ফলে নতুন কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে গেল দেশটিতে। এতে প্রবাসী আয়ে ধাক্কা আসতে পারে।
বিদেশে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজারের মূল ভরসার জায়গা মধ্যপ্রাচ্য। প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান এ অঞ্চলেই হয়। এর মধ্যে শীর্ষে আছে সৌদি আরব। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী গেছেন। গত বছর সৌদিতে গেছেন ৬ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জন। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে গেছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ১৫০ জন। মাঝে কয়েক বছর এই শ্রমবাজার বন্ধও ছিল। এখনো দেশটিতে কর্মী যাচ্ছেন আগের চেয়ে কম।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটির) তথ্য বলছে, মোট কর্মসংস্থানে তৃতীয় হলেও কয়েক বছর ধরে কর্মী পাঠানোর হিসাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার ওমান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখের বেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে। গত বছর দেশটিতে গেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬১২ বাংলাদেশি।
প্রথম ৬ মাসে দেশটিতে কাজ করতে গেছেন ৭৬ হাজার ৬৭৯ জন। এই শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার অর্থ বিদেশে কর্মসংস্থান কমে যাওয়া। তার প্রভাব সরাসরি পড়বে প্রবাসী আয়ে।
রয়্যাল ওমান পুলিশের (আরওপি) বিবৃতির বরাত দিয়ে ওমানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ওমান জানিয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা দেওয়া স্থগিত করার পদক্ষেপটি মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হয়েছে।
রয়্যাল ওমান পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পর্যটক ও ভ্রমণ ভিসায় যে বিদেশিরা ইতিমধ্যে ওমানে এসেছেন, তাঁদের জন্য ‘ভিসা পরিবর্তন’ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা ইস্যু স্থগিত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে।
ওমানে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাধারণত কোনো একটি দেশের অতিরিক্ত জনবল ঢুকে গেলে ওমান এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়।
এসআর