ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রত্যাখ্যান

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার প্রথম অংশ প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২৪ জুন ২০১৯

 মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার প্রথম অংশ প্রকাশ

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার প্রথম অংশ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার শনিবার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পরিকল্পনার প্রথম অংশ প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনী ভূখ-ে ৫ হাজার কোটি ডলার খরচ করা হবে। এই বিপুল অর্থ দিয়ে ফিলিস্তিনী যুবকদের জন্য অন্তত ১০ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আগামী সপ্তাহে বাহরাইনে অনুষ্ঠেয় এক সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত উপস্থাপিত হবে। অবশ্য ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ এই সম্মেলন বয়কট করেছে। কারণ হিসেবে তারা সাফ বলেছে, ২০১৭ সালে ট্রাম্প জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেয়ায় তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোন প্রকার সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নয়। খবর সৌদি গেজেট, এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের। ট্রাম্প প্রশাসনের এক সূত্র জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় অভাবনীয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ হবে। ফিলিস্তিনী জনগণের জন্য উন্নত অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি তাদের শিক্ষা ও অভ্যন্তরীণ শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে নাটকীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আগামী মঙ্গল ও বুধবার বাহরাইনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টা জারেড কুশনার। এর আগে মার্কিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়। এরপর এই সম্মেলনের সঙ্গে রাজনৈতিক উপাদান যোগ করা হয়েছে। এদিকে এই পদক্ষেপকে কথিত শান্তি প্রচেষ্টা আখ্যা দিয়ে তা বয়কটের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনের এক সিনিয়র নেতা বলেন, ইসরাইলের অকুণ্ঠ সমর্থক ট্রাম্প ফিলিস্তিনীদের কিনে নেয়ার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন থেকে ফিলিস্তিনী নাগরিকদের মনোযোগ অন্যদিকে ধাবিত করার পাঁয়তারা করছেন। হোয়াইট হাউস এই শান্তি পরিকল্পনাকে সরাসরি সমর্থন করেছে। বাহরাইনে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সামনে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। এই শান্তি পরিকল্পনাকে আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিনী নাগরিকদের জন্য সবেচেয় উচ্চাভিলাষী ও সুদূরপ্রসারী আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
×