ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

মেলবোর্নে ৯৬৯৮ অস্ট্রেলিয়ার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত 

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ২১ মে ২০২৪

মেলবোর্নে ৯৬৯৮ অস্ট্রেলিয়ার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত 

স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশে দিনটি উৎযাপিত হয়।

৯৬৯৮ অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে রবিবার (১৯ মে) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গানের আড্ডা নামে এক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। সংগঠনটির মেলবোর্ন শাখার এডমিন আবু আলম তান্নুর তত্ত্বাবধানে ও অন্যান্য সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশে দিনটি উৎযাপিত হয়। 

৯৬৯৮ অস্ট্রেলিয়া মূলত, বাংলাদেশের ১৯৯৬-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি এবং এইচএসসি সম্পন্ন করা এবং বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গড়ে তোলা একটি ব্যাচ-ভিত্তিক বন্ধুত্বের প্ল্যাটফর্ম।স্থানীয় একটি ফার্ম হাউসে সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রথমেই গ্রুপের সব বন্ধুরা মঞ্চে এসে তাদের নিজেদের পরিচিতি দেন। অনেকেই তাদের পরিবার নিয়ে আসেন।

মিলনমেলায় চটপটি, মিষ্টি দই, ক্ষীর, কেক, চা, চানাচুরসহ আরো অনেক মজার মজার খাবারের আয়োজন করা হয়। দুপুরের খাবারের পর হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোনো রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই ৯৬৯৮ এর বন্ধুরা একের পর এক চমৎকার সব পরিবেশনা করেন। চমৎকার উপস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গে দারুণ গানও পরিবেশন করেন মম মজিদ। আর গিটার বাজিয়ে একের পর এক ৮০ এবং ৯০ দশকের ব্যান্ডের মনমাতানো গানের মাধ্যমে আবু আলম সবাইকে নিয়ে যান পুরোনো দিনের স্মৃতিতে। 

মুশফিকা আহমেদ লাবনী এবং শোয়েব ইলিয়াসের পূর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। ফয়সাল হাসানের হৃদয় ছোয়া বাঁশির সুরে তৈরি হয় এক নস্টালজিক আমেজ। মনোমুদ্ধকর একক সঙ্গীত পরিবেশনা করেন সুকণ্ঠী অবনী মাহবুব। এরপর মনোরম এক কবিতা আবৃত্তি করেন ফারজানা শিবলী ফারাহ। এছাড়াও আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সায়েদা সায়রার একক নৃত্য পরিবেশন। সবশেষে আগত সব বন্ধুদেরকে একসঙ্গে নিয়ে কিছু জনপ্রিয় কিছু সম্মিলিত বাংলা গান এবং নাচ।

সাবরিনা কায়সার, সাজেদুল সোহাগ, মোর্শেদ শাহেদ, রিফাত হাসান, নাজমুল আলম, তারানা তারেক, নুজহাত ফারাহ জুলি, সায়েম শিবলী, রাজিয়া খান কুমকুম, বিন্দু আরশিয়া এবং হাশেম বেগ সহ আরো অনেকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই আড্ডার সমাপ্তি ঘটে। বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় ৯৬৯৮ বন্ধুদের সংস্কৃতিমনা পরিবারবৃন্দদের, যাদের সহযোগিতা ছাড়া এ আয়োজন কখনো সম্ভব ছিল না।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আরিফ ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন রাজ্য মিলিয়ে ৯৬৯৮ অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে প্রায় ৫০০ সদস্যের এক বিশাল পরিবার। অদূর ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য বড় শহরগুলোতেও এরকম মিলনমেলার আয়োজন করা হবে। এর আগে কেবল সিডনি শহরেই এর কার্যক্রম ছিল।’

এম হাসান

×