
সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে নারীদের মধ্যে স্ট্রোকের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে—যা বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি স্ট্রোকের ঝুঁকিতে পড়েন এবং তাদের মধ্যে স্ট্রোকের উপসর্গগুলোও অনেক সময় ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের শরীরে একাধিক হরমোনজনিত পরিবর্তন, গর্ভধারণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ, মেনোপজ এবং উচ্চ রক্তচাপ—এইসব বিষয় স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে মূল সমস্যা হচ্ছে, নারীরা স্ট্রোকের সূক্ষ্ম উপসর্গগুলো সহজে বুঝতে পারেন না, অথবা সেগুলোকে অযথা ভেবে উপেক্ষা করেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের উপসর্গ হিসেবে অনেক সময় মাথা ঘোরা, বমিভাব, আচমকা ক্লান্তি, বা আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়—যা অনেকেই মানসিক ক্লান্তি বা স্ট্রেস মনে করে এড়িয়ে যান। এর ফলে চিকিৎসা দেরিতে হয় এবং মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যদি হঠাৎ করে শরীরের একাংশ অবশ হয়ে যায়, কথা জড়িয়ে আসে, বা চোখে ঝাপসা দেখেন—তাহলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। দ্রুত চিকিৎসা না পেলে স্ট্রোক স্থায়ী পক্ষাঘাত বা মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
নারীদের স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কি করবেন?
- রক্তচাপ নিয়মিত মাপুন
- ধূমপান, অতিরিক্ত লবণ, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং ব্যায়াম করুন
- মানসিক চাপ কমান ও পর্যাপ্ত ঘুম দিন
- গর্ভনিরোধক বড়ি গ্রহণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
চিকিৎসকরা জোর দিয়ে বলছেন—‘F.A.S.T’ নিয়ম মনে রাখুন:
- Face drooping (মুখ বেঁকে যাওয়া),
- Arm weakness (হাত দুর্বলতা),
- Speech difficulty (কথা জড়িয়ে যাওয়া),
- Time to call emergency (তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান)।
সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসাই নারীদের স্ট্রোক থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই আজই পরিবার, মা, বোন, স্ত্রী বা বন্ধুর পাশে দাঁড়ান—তাদের জানিয়ে দিন, স্ট্রোক কোনো বয়স মানে না। প্রতিরোধ শুরু হোক এখন থেকেই।
হ্যাপী