ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

বিশ্ব বন্ধ্যত্ব সচেতনতা মাসে আলোচনায় পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য

মদ, ধূমপান ও গাঁজা: পুরুষ বন্ধ্যত্বের নেপথ্যে এই জীবনধারা

প্রকাশিত: ২২:০৬, ২৮ জুন ২০২৫

মদ, ধূমপান ও গাঁজা: পুরুষ বন্ধ্যত্বের নেপথ্যে এই জীবনধারা

বিশ্ব বন্ধ্যত্ব সচেতনতা মাস উপলক্ষে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এমন এক দিকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, যা প্রায়ই অবহেলিত থাকে—পুরুষদের বন্ধ্যত্ব।

ধারণাটি বেশ প্রচলিত যে বন্ধ্যত্ব বিষয়টি প্রধানত নারীদের সমস্যা, কিন্তু ABC নিউজের মেডিকেল বিশেষজ্ঞ ড. অলোক প্যাটেল জানাচ্ছেন, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বন্ধ্যত্বের পেছনে পুরুষ সংক্রান্ত কারণ জড়িত।

ড. প্যাটেল বলেন,
"যখন আমরা বন্ধ্যত্ব নিয়ে ভাবি, তখন অধিকাংশ মনোযোগই নারীদের ওপর থাকে। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দেয় — যেমন শুক্রাণুর পরিমাণ বা গুণগত মানের সমস্যা, জন্মগত বাধা, সংক্রমণ বা অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা।"

 জীবনধারা ও অভ্যাস: পুরুষ বন্ধ্যত্বে বড় প্রভাব

চিকিৎসকরা বলছেন, পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর কয়েকটি সাধারণ জীবনধারার অভ্যাস বড় প্রভাব ফেলে।

সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা সেবনের ফলে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যেতে পারে, গঠন (morphology) পরিবর্তিত হতে পারে, এমনকি হরমোনের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়।
ড. প্যাটেল পরামর্শ দিয়েছেন, সন্তান নিতে চাইলে গাঁজা ব্যবহার সীমিত রাখা উচিত।

তাছাড়া অ্যালকোহল সেবন এবং ধূমপানও ক্ষতিকর। ধূমপানের ফলে উৎপন্ন টক্সিন শুক্রাণুর DNA-কে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

 স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও মানসিক চাপের ভূমিকা

শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক সক্রিয়তা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
এছাড়াও, উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপও প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তাই চাপ নিয়ন্ত্রণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ড. প্যাটেলের পরামর্শ:
"যদি আপনি আপনার প্রজনন সক্ষমতা বাড়াতে চান, তাহলে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং গাঁজা ও অ্যালকোহলের ব্যবহার কমানোর দিকে নজর দিন।"

তিনি আরও বলেন, "যদি আপনি চিকিৎসার প্রয়োজনে কোনো পদার্থ ব্যবহার করে থাকেন, তবে তা নিয়ে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন।"

আরও গবেষণা: ADHD ও পাওয়ার ন্যাপ

স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, ADHD রোগীদের জন্য নির্ধারিত ওষুধ ব্যবহারে আত্মহানির ঝুঁকি এবং দুর্ঘটনার হার কমে। এটি প্রমাণ করে, যথাযথ চিকিৎসা মানসিক ও শারীরিক সুরক্ষায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আর মানসিক দক্ষতা বাড়াতে চাইলে, গবেষকরা বলছেন "পাওয়ার ন্যাপ" হতে পারে চমৎকার উপায়।

জার্মান গবেষকরা জানিয়েছেন, বিকেলে নেওয়া স্বল্প সময়ের ঘুম (২০-৩০ মিনিট) সমস্যা সমাধান ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। তবে ড. প্যাটেল সতর্ক করেছেন, রাতে ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটাতে হলে এসব ন্যাপ খুব বেশি দীর্ঘ হওয়া উচিত নয়।

Jahan

×