
ছবি: সংগৃহীত
দিনের সামান্য কিছুতেই রাগ উঠে যাচ্ছে? অপ্রয়োজনে চিৎকার করে ফেলছেন? পরে নিজেই হয়তো আফসোস করছেন। এমন সমস্যা এখন অনেকেরই—বিশেষ করে কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনে যেখানে স্ট্রেস আর চাপে মেজাজ হারিয়ে ফেলা খুবই সাধারণ ব্যাপার।
কিন্তু এই রাগ যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখা যায়, তবে তা কেবল সম্পর্কেই নয়—স্বাস্থ্য, কর্মক্ষেত্র এবং মানসিক স্থিতির উপরও গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র ৪টি কার্যকর অভ্যাস আপনাকে সহায়তা করতে পারে রাগ কমাতে।
উপায় ১: ‘১০ সেকেন্ড থামুন’ নিয়ম অনুসরণ করুন
রাগ উঠতে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে নিজেকে অন্তত ১০ সেকেন্ড সময় দিন। এই কয়েক সেকেন্ডেই মস্তিষ্ক একটু শান্ত হয় এবং আপনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার সুযোগ পান। এই থেমে যাওয়ার অভ্যাস নিউরনে 'রেসপন্স' ও 'রিঅ্যাকশন'-এর মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে, ফলে যুক্তি দিয়ে কাজ করা সহজ হয়।
উপায় ২: নাক দিয়ে গভীর শ্বাস, মুখ দিয়ে ছাড়ুন
রাগ ওঠার সময় আমাদের শরীর ফাইট-অর-ফ্লাইট মোডে চলে যায়। তখন হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, রক্তচাপও ওঠে। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস এই উত্তেজনা হ্রাস করতে কার্যকর। ৪ সেকেন্ড ধরে শ্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধরে ধরে রাখুন, ৬ সেকেন্ডে ছাড়ুন—এই '৪-৪-৬' পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
উপায় ৩: রাগের ডায়েরি লিখুন
প্রতিদিনের রাগের কারণগুলো একটি ছোট নোটবুকে লিখে ফেলুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, কী কী কারণে রেগে যান এবং সেগুলো বারবার ঘটছে কি না।
মানসিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের অনুভূতি লিখে ফেলা একধরনের থেরাপি, যা আত্মজ্ঞান বাড়ায় এবং নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
উপায় ৪: ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন
ব্যায়াম শরীরে এন্ডোরফিন নামক ‘ভালো লাগার’ হরমোন বাড়ায়, যা মানসিক চাপ ও রাগ কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন।
রাগ হলে নিজেকে দোষ না দিয়ে বরং উপায় খুঁজুন—সুস্থ থাকার জন্য মানসিক নিয়ন্ত্রণ ঠিক যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি নিজের আবেগের দায়িত্ব নেওয়া।
ফারুক