
ছবি: জনকণ্ঠ
হলুদ বা হলদি গাছ কমবেশি সবাই চিনি। হলুদ গুঁড়ো অথবা বাঁটা প্রতিদিনের রান্নায় প্রধান মসলা। হলুদ ক্ষেতে গেলে দেখা যায় গাছে ফুটে থাকা ফুলের। হলুদ গাছের কাণ্ডের মাঝে ফোটে এই ফুল। প্রয়োজন অনুযায়ী ভোরবেলা শিশিরের পানি সহ তোলা উপকারী।
হলুদ গাছের ফুলের রং সাধারণত হালকা হলুদাভ এবং সাদা এই দুই রঙের হয়ে থাকে। একটি বোঁটায় গুচ্ছ আকারে মৃদু গন্ধ যুক্ত ফুল ফোটে। এর একাধিক গুন রয়েছে। নানা গুণে গুণান্বিত হলুদকে বলা হয় মসলার রানি। মানুষ রান্নাসহ চিকিৎসার কাজে হলুদ ব্যবহার করে আসছে। অনেকে মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হলুদ ও ফুল ব্যবহার করেন।
এক গবেষণার তথ্যমতে, পুষ্টিগুণে ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়োয় পাওয়া যায় ২৯ ক্যালরি। হলুদের পুষ্টিগুণ তো আছেই,আছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় হলুদের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
হলুদ চাষের জন্য চৈত্র মাস উত্তম সময়। সব ধরনের মাটিতেই হলুদ চাষ করা যায়। হলুদ গাছের বংশবিস্তার হয় কন্দের মাধ্যমে। বাদাম,আলুর মতো এর ফল হয় মাটির নিচে আর ফুল হয় মাটির উপরে। যেটা আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করি সেটাই হলুদের কন্দ। বছরে একবার হলুদ গাছের শিকড় তোলা হয়। পরের বছর পুরানো কন্দ থেকে নতুন গাছ গজায়।
তিন জাতের হলুদ গাছ উদ্ভাবন করেছেন। পাবনা জেলার আতাইকুলা, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া, সুজানগর,(বেড়া উপজেলার) আমিনপুর এলাকায় হলুদ বেশি চাষ হয়। বাণিজ্যিক ভাবে তেমন চাষ হয় না। নিজেদের মসলা চাহিদা পূরণে অল্প পরিসরে চাষ হচ্ছে।
Mily