
বাবার স্নেহের ছায়ায় জীবনের মধুর যাত্রা, ছবি: শেখ ফরিদ
বাবা—জীবনের প্রথম নায়ক, প্রথম শিক্ষক, প্রথম আশ্রয়। যে কাঁধে আমরা শান্তির ছায়া পাই, যে হাত ধরে আমরা জীবনের পথে এগিয়ে যাই। বাবা দিবস সেই দিন, যখন আমরা তাঁদের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের সম্মানে মাথা নুইয়ে ধন্যবাদ জানাই।
এই বিশেষ দিনের জন্ম এক মেয়ের হৃদয়ের অনুভূতিতে লুকিয়ে। ১৯১০ সালের স্পোকেন শহরের লরা ডড দেখেছিলেন, তাঁর বাবা ছয় সন্তানের সংসার সামলাতে গিয়ে কতটা কঠোর পরিশ্রম করেন, কতটা ত্যাগ স্বীকার করেন। মায়েদের জন্য যেমন একটি বিশেষ দিন আছে, বাবাদের জন্যও হওয়া উচিত—এই বোধ থেকেই জাগল বাবা দিবসের প্রথম কল্পনা।
ধীরে ধীরে সে ছোট্ট বীজ বেড়ে উঠল বিশ্বব্যাপী সম্মানের উৎসবে। ১৯৭২ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন সরকারিভাবে জুনের তৃতীয় রবিবারকে বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেন। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে হাজারো সন্তান তাদের বাবাদের কৃতজ্ঞতা জানায়, তাঁদের অবিচল ভালোবাসা ও ত্যাগের স্বীকৃতি দেয়।
বাবার ভালোবাসা কখনো চাহিদার বাগানে বসে না, সে এক নিরব বৃষ্টির মত, ম্লান করে না, শুধু জীবন ভরিয়ে দেয়। বাবার হাত ধরেই আমরা শিখি জীবন যুদ্ধ, ধৈর্য্য আর সাহস। বাবা দিবস আমাদের সেই অমলিন বন্ধনকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যেখানে ভালোবাসার স্রোত কখনো থামে না।
সুতরাং, বাবা দিবস শুধু একটি দিন নয়, এটি এক শ্রদ্ধা, এক কাব্য, এক ভালোবাসার স্মৃতি, যা আমাদের হৃদয়ে চিরকাল জ্বলজ্বল করে থাকবে।
ফরিদ