ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোয়ারেন্টাইন কী এবং কেন?

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ২০ মার্চ ২০২০

কোয়ারেন্টাইন কী এবং কেন?

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যাও যেমন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাটাও অনেক। জনমনে এখন একটাই আতঙ্কের নাম এই করোনাভাইরাস। সেই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সবার আগে। সর্বশেষ ইতালি দেশটির ১৬ মিলিয়ন মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া বিশ্বের যে কোন জায়গাতেই করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন অর্থ-একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথক থাকা। তবে কোয়ারেন্টাইন মানে এই নয় যে, আপনাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়া হলো। যদি কারও করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে রাখতে এবং ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অন্তত ১৪ দিন আলাদা থাকতে বলা হয়। মূলত কভিড-১৯ কোয়ারেন্টাইন মানে বাড়িতে বা বদ্ধ ঘরে থেকে অথবা সম্পূর্ণ নিরাপদ স্থানে থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কোয়ারেন্টাইনে সর্বোচ্চ চার থেকে ছয়জনকে একসঙ্গে রাখা যায়। এর বেশি হলে সেটা আর কোয়ারেন্টাইন নয়। আলাদা করে সবাইকে রাখা হচ্ছে। অবজারভেশনে রাখা না হলে এ রোগ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্ব যেসব দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সেসব দেশের মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। শুধু ইতালিতেই কোয়ারেন্টাইনে ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষকে রাখা হয়েছে। তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানে আপনার ফোন নিয়ে যাওয়া হবে না। এমনকি প্রতিনিয়ত ব্যবহার্য অন্যসব জিনিসপত্রও কেড়ে নেওয়া হবে না। করোনার উপস্থিতি ১৪ দিনের মধ্যে আক্রান্তের শরীরে পাওয়া যায়। যার জন্য এই ১৪ দিনে উপসর্গ পাওয়া রোগীর সংক্রমণ বাড়ে কিনা তা নিরীক্ষণ করা হয়। করোনারভাইরাসগুলো ধীরে ধীরে সুস্থ কোষের সঙ্গে মেশে। আর এই সময়ের মধ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নিয়মিত সময়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা ও জ্বর কমাতে ওষুধ গ্রহণসহ ভাল স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করানো হয়। করোনা আক্রান্ত রোগীদের ব্যবহার করা টাওয়াল, খাবারের পাত্র ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় ব্যবহৃত জিনিসগুলো দিয়েও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর জন্যই কোয়ারেন্টাইনে উপসর্গ পাওয়া মানুষদের রাখা হয়। এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে হাত না ধুয়ে নিজের চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা। আর প্রতিদিন কয়েকবার সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে সর্বপ্রথম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। আর সর্বশেষ ইতালি দেশটির ১৬ মিলিয়ন মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের যে জায়গায় করোনার উপসর্গ বা আক্রান্তপ্রাপ্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে, তখনই তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। বিজ্ঞান ডেস্ক
×