.
গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির অবস্থা এখন আগের মতোই স্বাভাবিক। ভোকালে (কণ্ঠে) কোন সমস্যা নেই। ফলে শীঘ্রই কাজে ফিরতে পারবেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এ মুখ। শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানিয়েছেন আবু হেনা রনির স্ত্রী রুমানা রশিদ সম্পা। তিনি বলেন, রনির অবস্থা এখন ভাল। দুই কাঁধের ব্যান্ডেজ খুলে দিয়েছে। এখন শুধু হাতের তালুতে ব্যান্ডেজটা রয়েছে। চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিকভাবেই করতে পারছে। কবে নাগাদ কাজে ফিরতে পারবেন রনি, এ প্রশ্নে সম্পা বলেন, খুব তাড়াতাড়িই কাজে ফিরতে পারবে বলে আশা করি। তবে মাসখানেক কিছুটা নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে। সম্পা জানান, আগামী দু’একদিনের মধ্যেই হয়ত ডাক্তাররা ছেড়ে দিতে পারেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আবু হেনা রনিকে এইচডিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। কেবিনে তাকে একটু আলাদা করে রাখা হয়েছিল। পরিবার ছাড়া অন্য কোন পরিদর্শক বা গণমাধ্যমের কাউকেই যেতে দেয়া হয়নি। পরিবারের বাইরে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থাও ছিল না তার। কেবিনের সামনে আনসার ও পুলিশ সদস্য রাখা হয়েছিল।
১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হন আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনার পর দগ্ধদের প্রথমে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সেখান থেকে আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন নামে একজনকে এবং পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে রনির শরীরের ২৫ শতাংশ এবং পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের শরীরের ১৯ শতাংশ পুড়ে যায়।
