ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আপন মায়ের সাথেই নিজ স্বামীর ২২ বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক, ভাইদের ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ২৪ মে ২০২৫; আপডেট: ১৮:৫০, ২৪ মে ২০২৫

আপন মায়ের সাথেই নিজ স্বামীর ২২ বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক, ভাইদের ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাইরের অনেক দেশ, সমাজের অনুশাসন এতটাই ঠুনকো যে সম্পর্কের মধ্যে এতটাই নোংরামি আসে যা শুনলে হতবাক হয়ে যেতে হয়৷  এরকমই একটি জটিল ও নোংরা সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে যাওয়া  একজন মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পর্কের ভয়াবহতার বর্ণনা দেন, যা শুনে নেটিজেনরাও হতবাক৷ মানুষের অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সম্পর্কের মধ্যে থাকা দুটি সম্পর্ক তার নিজের মা ও তার স্বামী তারা দুজনে মিলে এমন এব কাণ্ড করেন যা রীতিমত হতবাক করে দিয়েছে মানুষকে।

ওই মহিলা জানিয়েছিলেন তার নিজের মায়ের সঙ্গে  তার নিজের স্বামীর ২২ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। একদিন সে নিজেই বেডরুমে দুজনকেই হাতেনাতে ধরে ফেলে।মেয়েটির বাবা এই মারাত্মক সত্যি জানতে পেরে চমকে যান৷ জামাইয়ের এই কুকীর্তির কথা জানতে পেরে শ্বশুর সঙ্গে সঙ্গে  তার ছোট সন্তানদের ডিএনএ পরীক্ষা করান। এরপরেই এমন এক গোপন সত্যি সামনে উন্মোচিত হয় যে পুরো পরিবারের বিশ্বাসের ভিতটাই টলে যায়৷ 

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রেডিটে r/TrueOffMyChest নামে একটি গ্রুপ আছে। @blownupmarriage1 ব্যবহারকারী জানিয়েছেন,  একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখেছিলেন এবং তাঁর পরিবারের চরমতম বিশ্বাসঘাতকতার দিকটি তুলে ধরেছিলেন৷

৪০ বছর মহিলা জানান যে তার মা এবং তার স্বামীর মধ্যে ২২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা এবং তার বর্তমান স্বামী যিনি আগে বয়ফ্রেন্ড ছিলেন তারা ১৫ বছর বয়স থেকেই প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে যখন মহিলাটি গর্ভবতী হন, তখন তার বাবা-মা তাঁদের দুজনকেই তাদের বাড়িতে থাকতে দেন৷

১৮ বছর বয়সে দু'জনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাবা তার মেয়ে এবং জামাইয়ের জন্য বাড়ির পাশে একটি বাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, যেখানে তারা  একসঙ্গে সংসার শুরু করেছিলেন। 

মহিলাটির মোট ৬ ভাইবোন ছিল। যে সময় তিনি এই কঠিন সত্যির মুখোমুখি হন তখন তার নিজের ৪টি সন্তান ছিল এবং তিনি ৭ মাসের প্রেগন্যান্ট ছিলেন। মহিলা জানিয়েছেন যে একবার তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত দিন যখন ভ্রমণ শেষ হওয়ার কথা ছিল তার একদিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। বেডরুমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে তার মা এবং স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এই দেখে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান৷  

তিনি তার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করেন  যে তাদের মধ্যে এইভাবে কতদিন ধরে সম্পর্ক চলছে, স্বামী তাকে জানায় যে তাদের বিয়ের আগে থেকেই এই সম্পর্ক চলছিল। এ থেকে মহিলা সন্দেহ করেন যে এটাও হতে পারে  যে তার দুই ছোট যমজ ভাই এবং সবচেয়ে ছোট ভাই হয়ত তার স্বামীরই সন্তান।

যখন মহিলাটি তার বাবাকে এই কথাটি জানালেন, তখন তিনিও সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়লেন এবং তার ছোট ভাইদের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি করতে শুরু করলেন। যখন তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়, তখন জানা যায় যে তার যমজ ভাইরা তার স্বামীরই সন্তান।

মহিলা তার পুরো পরিবারকে এই অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের ঘটনাটি জানায়। এরপর মেয়েটির  বাবা নিজের স্ত্রীকে অর্থাৎ ওই মহিলার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন৷ এরপর সেই মহিলা নিজের বোনের সঙ্গে থাকতে যান, এবং মহিলার সঙ্গে তার স্বামীর ডিভোর্স প্রক্রিয়াও শুরু হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ মহিলাকে সমর্থন করেছে। এই পোস্টে মহিলাটি আরও অনেক তথ্য দিয়েছেন, যা বেশ অদ্ভুত। তার পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।

মহিলাটি পোস্টে বলেছেন যে তার মা পুরো দোষ তার উপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন এবং বলছেন যে মেয়েটিই তার পরিবারকে নষ্ট করেছে৷  এই ঘটনার কারণে তিনি তার চাকরিও হারিয়েছেন। নেটিজেনরা মহিলাটিকে সমর্থন করেন এবং বলেন যে মেয়েটি কোনও  ভুল করেনি, তার মা এবং স্বামী প্রতারক ছিল এবং সে সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছিল। 

ফুয়াদ

×