
ছবি: সংগৃহীত।
সোশ্যাল মিডিয়া এখন এমন এক খোলা মঞ্চ, যেখানে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য এক মুহূর্তেই মিলিয়ে যায়। গত ১৪ মে রাত থেকে এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে—দাবি করা হয়, সেখানে চিত্রনায়ক মিশা সওদাগরকে জনতা রাস্তায় মারধর করছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, "গত সরকারের দোসর হওয়ায় মিশা সওদাগরকে জনগণ প্রহার করেছে।" ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা একজনকে রাস্তায় মারছে, আর আশপাশে লোকজন দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে।
এই ভিডিও নিয়ে দেশের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেল এমনকি কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালেও সংবাদের জন্ম হয়। কিন্তু দ্রুতই জানা যায়, ভিডিওতে যাকে মিশা বলা হচ্ছে, তিনি আদৌ অভিনেতা নন। আর মিশা সওদাগর? তিনি তো তখন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন।
ভাইরাল ভিডিও নিয়ে চুপ থাকেননি ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই জনপ্রিয় খলনায়ক। তিনি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে হাসপাতালের বিছানা থেকেই একটি সংক্ষিপ্ত লাইভ করেন।
লাইভে তিনি বলেন: "আমি সাধারণত লাইভে আসি না। কিন্তু আজ বাধ্য হয়েছি। আমি হাসপাতালে আছি, চিকিৎসা নিচ্ছি। এর মাঝে দেখলাম, আমার নামে একটা ভুয়া ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। যারা এমনটা করেছেন, তাদের প্রতি আমি নিন্দা জানাচ্ছি।"
ভিডিওটি পুরোপুরি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর বলেই দাবি করেন তিনি।
প্রায় ৯ বছর আগে ‘মিসড কল’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন মিশা সওদাগর। সে সময় ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল। যদিও পরে সুস্থ হয়ে অভিনয়ে ফেরেন, তবে সম্প্রতি সেই একই জায়গায় ফের আঘাত পান।
এই কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। বর্তমানে তিনি সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া কোনো মজার বিষয় নয়—এটি একটি গুরুতর অপরাধ। এতে শুধু একজন ব্যক্তির সম্মানহানিই হয় না, সমাজে বিভ্রান্তি ও মিথ্যা তথ্যের ছড়াও ঘটে, যা বৃহৎ পরিসরে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষ করে যখন ভিডিওতে রাজনীতি বা পরিচিত মুখ জড়ানো হয়, তখন তা জনমতকে প্রভাবিত করতেও পারে।
নুসরাত