
.
বিবেকানন্দ থিয়েটারের ২৩তম প্রযোজনা দর্শকনন্দিত নাটক ‘উত্তরণ’। নাটকটির পর পর দুটি প্রদর্শনী হবে শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ শনিবার। প্রথম প্রদর্শনী বিকেল সাড়ে ৫টায় এবং দ্বিতীয় প্রদর্শনী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। নাটকটি লিখেছেন অপূর্ব কুমার কুন্ডু । নির্দেশনার পাশাপাশি এতে অভিনয় করছেন শুভাশীষ দত্ত তন্ময়। তিনি জানান, নাটকটির ২১ এবং ২২তম মঞ্চায়ন এক অর্থে ঈদের ছুটির পরে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এই মঞ্চায়ন বিনোদন, জ্ঞান এবং নাট্যানুশীলনের আনন্দ সমবেতভাবে উদ্যাপন। নাটকের সংলাপের উচ্চারণটা করেন এভাবে- ‘কৈশোরে পেয়েছি বঞ্চনা, যৌবনে চৌর্যবৃত্তি আর এই বার্ধক্যে এসে শুধু অপরাধবোধ আর মনে মনে ঘৃণা। কত মানুষের ক্ষতি করেছি, কত লোকের সর্বস্ব নিয়েছি কেড়ে, কত সতীর্থদের করুণ পরিণতি দেখেছি।’
নাট্যকার বলেন, নাটক ‘উত্তরণ’ একদল পথভ্রষ্ট মানুষের দিকহীন, দিশাহীন পথে চলা। তাদের চলতি পথ কৌশলী, কল্পনা নির্ভর কিন্তু মরা বাঁচার মধ্যবর্তী খাদ বেয়ে চলা। তারা বোঝে তাদের চলতি পেশা হীন, মন্দ, লোক সমাজ দ্বারা ঘৃণিত তবু তারা মনের দৃঢ়তার অভাবে এই পেশা বৃত্তির গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। অথচ তারা চায় সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর জীবনে অবগাহন করতে, অপরাপর মানুষের মাঝে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দাঁড়াতে। একদিকে নিকৃষ্ট জীবিকায় জীবন ধারণ, অপরদিকে মনের দিক দিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতারণের প্রবল ইচ্ছার টানা পোড়েনের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম উত্তরণ। এই উত্তরণ অনেকটা বৃক্ষের মতন, যার শিকড় মাটির তলে অন্ধকারে পচা মাটিতে অথচ যে ডালে ডালে ফুলে ফলে ধরিত্রীকে রঙ্গিন করে, নিজের জীবনকে স্বার্থক করে। পচা মাটি এখানে উত্তরণদের জীবিকা আর ফুল ফল তাদের জীবন বোধ এবং বোধ থেকে উচ্চারিত সংলাপ।
নাটকটির অভিনয় শিল্পীরা হলেন শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, শান্তনু সাহা, তারক নাথ দাস, অমিতাভ রাজীব, এস এম মাশফিক আহমেদ, এ আর কিবরিয়া, সুমিত চন্দ্র দাস, হিমেল হিমু, রতন মোহন বিশ্বাস, ফাহতিন মাহতাব হক প্রমুখ। নাটকের পোস্টার ডিজাইন ও আবহ সংগীত করেছেন হামিদুর রহমান পাপ্পু।