মাধুরী দীক্ষিত
বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। ৯০-এর দশকে প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। সে সময় একের পর এক হিট ছবি দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ‘দিল’, ‘বেটা’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘খলনায়ক’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ সহ রয়েছে একধিক ছবি। যার মধ্যে ১৯৯৩-এ মুক্তি পাওয়া খলনায়ক ছবিটি ছিল সে বছরের সব থেকে বড় হিট। অথচ ‘খলনায়ক’ ছবিতে অভিনয় করার সময় মাধুরীকে বেশকিছু শর্ত মেনে কাজ করতে হয়েছিল। মাধুরীকে নির্মাতারা জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে চলবে না। কারণ সে সময় ছবির নায়ক সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ছিল মাধুরীর সম্পর্কের গুঞ্জন। এমনকি চুক্তিপত্রও সই করতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। জানা যায়, ছবির শূটিং চলাকালীন বিয়ে করা যাবে না, অন্তঃসত্ত্বা হওয়াও যাবে না।
ছবির শূটিং চলাকীলন প্রথম কোনো প্রযোজক এমন চুক্তিপত্রে সই করিয়েছিলেন নায়িকাকে। এর কারণটা ছিল সঞ্জয় দত্ত। ‘সজন’, ‘থানেদার’, ‘খলনায়ক’ সহ একাধিক ছবিতে মাধুরীর সঙ্গে কাজ করার সময় তার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন সঞ্জয়। গুঞ্জন ছিল যে কোনো সময় মাধুরীকে বিয়ে করতে পারেন তিনি। আর সে কারণেই নাকি মাধুরীকে দিয়ে এমন চুক্তিপত্রে সই করিয়েছিলেন ‘খলনায়ক’ নির্মাতারা। বক্স অফিসে অবশ্য ছবিটি সুপারহিট হয়। তবে এতকিছুর পরেও সঞ্জয় দত্ত বা মাধুরী দীক্ষিত কোনোদিনই তাদের প্রেমের কথা স্বীকার করেননি। বর্তমানে চিকিৎসক শ্রীরাম নেনের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন মাধুরী দীক্ষিত।
এদিকে সঞ্জয় দত্ত যখন মাধুরীর প্রেমে মশগুল, তখন তিনি তার প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মার সঙ্গে বিবাহিত। রিচা ছিলেন অসুস্থ, মস্তিষ্কে টিউমারের অস্ত্রোপচারের কারণে তিনি নিউইয়র্কে ছিলেন। তারই মাঝে মাধুরীর কাছাকাছি এসেছিলেন সঞ্জয়। এরমধ্যে ১৯৯৩ সালে অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার হন অভিনেতা। তখন মাধুরী আর সঞ্জয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। মাধুরীর এমন ব্যবহারে সঞ্জয় দত্ত আঘাত পেয়েছিলেন বলেও শোনা গিয়েছিল।