ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

কান উৎসব দিয়েছে আত্মবিশ্বাস 

নুরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০১:০৫, ৩০ মে ২০২৪

কান উৎসব দিয়েছে আত্মবিশ্বাস 

আশনা হাবিব ভাবনা

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। সম্প্রতি ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এসেছেন তিনি। আটদিন এ উৎসবে ছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি একটি সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কান উৎসবের অভিজ্ঞতা ও নানা বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন-নুরুল ইসলাম

কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা শুনতে চাই...
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আমার অন্যরকম বলতে পারি। এক কথায়, চমৎকার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেখানকার প্রতিটা মুহূর্তই বেশ উপভোগ করেছি এবং নানা মুহূর্তের ছবি সোশ্যালে শেয়ারও দিয়েছি। এর বাইরে নানা দেশের সংস্কৃতি দেখার সুযোগ হয়েছে। এছাড়া নেটওয়ার্কিং করেছি বিভিন্ন মানুষজনের সঙ্গে মিটিং করে। সম্পূর্ণ একা অংশগ্রহণ করেছি। এর আগে এভাবে একা কোথাও যাইনি। দারুণ এক আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশে এসেছি। 
কান উৎসবে একটি সিনেমাতেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন...
সিনেমার নাম ‘জেনুবিয়া’। এটি পরিচালনা করবেন জাফর ফিরোজ আর নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন কিয়াও লি, যিনি একজন ব্রিটিশ চায়নিজ প্রযোজক। একই সঙ্গে তিনি ইউনেসকো ফিল্ম সিটির সঙ্গেও যুক্ত আছেন। নভেম্বরে এটির শূটিং শুরু হবে। এ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়া আমার জন্য দারুণ অর্জন। সেখানে যাওয়ার আগে এমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমার সঙ্গে কান উৎসবে যা কিছু ঘটছে, সবই মিরাক্যালি ঘটছে। নিঃসন্দেহে আমি বিশ্বাস করি যে এটা মালিকের আশীর্বাদ, তাই এমনটি ঘটছে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার ভাবনা কী করে এলো?
আমাকে কান থেকে একজন শিল্পী হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি নিজ থেকে কানে অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করি। তারা সবকিছু যাচাই করে একজন শিল্পী হিসেবে সেখানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এটাও আমার জন্য অনেক আনন্দের ছিল। কান উৎসবে যাওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করে। সবাইকে তারা ইনভাইটেশন কার্ড পাঠায় না। সত্যি বলতে অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছি। আমার সে ইচ্ছে পূরণ হয়েছে।  
কান উৎসবে লালগালিচায় হেঁটেছেন কাকের থিমের পোশাক পরে। এটি নিয়ে জানতে চাই?
দেশের বাইরে গেলে সবসময় চেষ্টা করি প্রিয় শাড়ি, প্রিয় পাখি- অর্থাৎ দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে। কানেও তা করেছি। কাকের প্রতি সবসময় ভালোবাসা কাজ করে। এটি কমবেশি সবাই জানে। এ পাখির সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। ডিজাইনার তানভীর সৌরভ বলেছিল এ থিমে কিছু পরতে। তার ভাবনার সঙ্গে আমার চিন্তা মিলে যায়। সে কিছু স্কেচ পাঠায়। ওখান থেকে একটি পছন্দ হয় সেটি পরেছি।

আমি যেখানে থাকতাম ওখান থেকে মাত্র তিন মিনিটের দূরত্ব ভেন্যুর। আমি যা-ই পরে উৎসবে ঢুকেছি সবাই প্রশংসা করেছে। বেনারসি দিয়ে যে গাউন বানানো যায় তা হয়তো অনেকে ভাবতে পারেননি। প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ বলেছে আমার মুখের আদল সুন্দর। আনন্দবাজার পত্রিকা ও টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের নজর কাড়তে পেরেছি। আমি ওখানে কাজ নিয়ে যাইনি কিন্তু কাজ নিয়ে এসেছি। পজিটিভ ভাইভা নিয়ে দেশে ফিরেছি।  
আপনার হাতে বেশ কয়েকটি সিনেমা আছে। সেগুলোর খবর কী?
কিছু দিনের মধ্যে ‘চারুলতা’ ছবির শূটিং শুরু করব। মুক্তির অপেক্ষায় আছে আব্বুর (হাবিবুল ইসলাম হাবিব) ছবি ‘যাপিত জীবন’ ও ‘দামপাড়া’ সিনেমা। এদিকে ‘পায়েল’ ছবির ডাবিং বাকি আছে। দেশে ফেরার পর অনেকেই কাজের কথা বলছে। আমার মাঝে তাড়াহুড়ো নেই। ভালো কিছু কাজের কথা ও পরিকল্পনা হচ্ছে।

খুব শিগগিরই সেগুলোর বিষয়ে জানাতে পারব। আমি একদম প্রথম দিন থেকে ভালো অভিনেত্রী হতে চেয়েছি। এজন্য অনেক ছাড় দিয়েছি। আমার স্ট্রাগল অন্যদের মতো না। চাইলেই অনেক টাকা নিয়ে প্রতিদিন কাজ করতে পারি।

×